বিবর্তনবাদ এবং আমরাঃ কিছু ফালতু অবজারভেশন

আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

 

অভিনয় আমাদের সমাজে সফল এবং প্রায় সবার কাছেই সন্মানজনক একটা পেশা। যারা অভিনয় করে, বা অভিনয় করতে চায়, তারা কেন অভিনয় করতে চায়? এটা এমন এক পেশা যেখানে সফলতার আসে অন্যের অনুমোদন (acceptance) থেকে। যারা অনুমোদনের জন্য অন্য মানুষদের দিকে তাকিয়ে থাকে, তারাই কি তাহলে অভিনয়ে বেশী আগ্রহী হয়? অনুমোদনের জন্য যারা অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের আত্মবিশ্বাসতো খুবই কম থাকার কথা, তাই না? কিন্তু অভিনেতা/নেত্রী দের দেখেতো তেমন মনে হয় না?

 

আত্মবিশ্বাসহীন মানুষদের, শুধুমাত্র সামাজিক অনুমোদনের কারনে যে আত্মবিশ্বাস তাদের ভিতর তৈরি হয়, তার কতটা মৌলিক? এই মৌলিক আত্মবিশ্বাসটা, আত্মবিশ্বাস থেকে আবার আলাদা করে বলার মত মনে হল কেন??? অনেক আগে এক হুজুর বলছিল, দান করতে হয় ইহকালে প্রতিদানের আশা না করে, তাইলেই নাকি দান কবুল হয়। প্রতিদানের আশায় যখন কেউ দান করে, তাকে ঠিক দান বলে না, ব্যপারটা অনেকটা সামাজিক লেনদেন মধ্যে পরে। সামাজিক অনুমোদনের মাধ্যমে তৈরি আত্মবিশ্বাসের সাথে মৌলিক আত্মবিশ্বাসের তফাতটা কি অনেকটা দান আর সামাজিক লেনদেন এর মত না?

 

ব্যপারটা যদি এমন ধরে নেই, তফাত যদি সত্যিই থাকে, তাহলে সে তফাতটা ঠিক কোথায়? আমার যা মনে হয়, মৌলিক আত্মবিশ্বাসটা আসার কথা, জ্ঞান বিজ্ঞান আর সভ্যতায় আমাদের অবদান, অর্জন এবং অংশগ্রহন থেকে। সামাজিক বিবর্তনের ধারায় দুই পায়ে দাড়াতে শেখার পর থেকে আমরা আজ যেখানে পৌছেছি, যেখানে এখন টাকাকে একক ভাবে আমরা সকল সফলতার মানদন্ডে পরিনত করেছি, এই সামাজিক সফলতার পেছনে মেকি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ছুটে চলার এই ধারা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? মুখটা আরেকটু ফরসা করার দরকার আছে, ফেয়ার এন্ড লাভলী মাখাও খারাপ কিছু না, কিন্তু অন্যের চোখে সুন্দর হবার জন্য যে প্রানান্ত প্রচেষ্টা আমরা করছি, আমাদের জীবনটাতো এই কাজেই চলে যাচ্ছে। সমস্ত মিথ্যা, চাতুরি এবং অন্য সব অপকর্মের পেছনে সামাজিক অনুমোদন পাবার চেষ্টা আর সমাজের তৈরি সফলতার এই মিথ্যা মানদন্ডের দায় কতটুকু? সামাজিক বিবর্তনের ধারায়, সমাজ ঠিক করে দেয় কোনটা সফল, কোনটা ঠিক, কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ। সমাজ যখন ভুলকে বলে ঠিক, বিবর্তন তখন কোন দিকে হয়???

 

আমার টাকা/ক্ষমতা আর কতজন মানুষ আমাকে চেনে, আমাকে ভক্তি করে, ইত্যাদি ইত্যাদি ঠিক করে দেয় আমি সমাজে কতটা সফল। এগুলো আজকের সমাজের বানানো সফলতার মানদন্ড। নোবেল জয়ী ভারতীয় বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর এবং সে দেশের অন্য সকল বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত অবদানের পরও, সমাজের তৈরী মানদন্ডে, শাহরুখ খান একাই তাদের সবার চেয়ে বেশী সফল। তার টাকাও বেশী, মানুষ চেনেও তাকে বেশী, ভক্তিও করে। আর এই খান সাহেব করে কি, অভিনয়। আর অভিনয় মানুষ কেন শুরু করে? সামাজিক অনুমোদন এর জন্য/সমাজের তৈরি সফলতার মানদন্ড গুলো ছোয়ায় জন্য। তাইতো আজ মানুষরা সব ভেনিশিং ক্রিম মেখে সমাজের তৈরি ভন্ডামিতে ভেনিশ হয়ে যাচ্ছে। আজকে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের শাহরুখ খান আর চন্দ্রশেখরের  মধ্যে তারা বড় হয়ে কার মত হইতে চায় জিজ্ঞাস করেন। উত্তর কি পাবেন আপনিও জানেন।

 

নিজের এবং সমাজের ভালোর জন্য, জ্ঞান বিজ্ঞান আর সভ্যতায় অবদান, অর্জন এবং অংশগ্রহন বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা সামাজিক ভাবে আরো বাড়ানো দরকার। সামাজিক বিবর্তনের এই ত্রুটিপুর্ন ধারায় আমরা কোন দিকে এগুচ্ছি? নিজেকে সমাজে গ্রহনযোগ্য করে তুলে ধরতে গিয়ে আমরা কি আমাদের মৌলিক উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছি না দিন দিন? মেকির পেছনে ছুটতে সমাজের এই ইন্ধন বন্ধের বা কোনরকম পরিবর্তনের কোন উপায় কি আছে? যে অর্জন আমি ছাড়া আর কারো কাজে আসে না, তা কি স্বাথর্পরের অর্জন না? এই নিয়ে আমাদের উল্লাস করার কি আছে?

 

 

প্রানীজগতের বিবর্তনের ইতিহাস; বন্যাপু, অভিজিত ভাই আর অন্যদের লেখায় যতটুকু বুঝেছি; সবলের টিকে থাকার ইতিহাস। প্রজাতির ভিতর যারা সবল, শক্তিবান আর বুদ্ধিমান, তারাই টিকে ছিল/আছে। আমরা মানুষরা তাদের মধ্যে এক প্রজাতি। আমরা শক্তিশালী আর অতিবুদ্ধিমান প্রজাতি। জ্ঞানবিজ্ঞানে অগ্রগতির ফলে আমাদের বিবর্তনের জন্য এখন আর জেনেটিক মিউটেশনের আশায় বসে থাকতে হয় না। এইতো কয়েক যুগ আগেও সাধারন ডাইরিয়াতেই গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে যেত। চিকিৎসাশাস্রের অগ্রগতি আমাদের প্রজাতির টিকে থাকার ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বিংশ শতাব্দির এই জ্ঞানবিজ্ঞানের বিবর্তন, আগেরকার বিবর্তনের ধারার থেকে অনেক ভিন্ন। আমাদের চারপাশের অন্য সকল পশুপাখি, গাছপালা এখনো অনেকটা বিবর্তনের পুরানো ধারাতেই আটকে আছে। চিকিৎসাশাস্রে অগ্রগতির এই নতুন ধারার বিবর্তন আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে ভেবে পাই না। যেভাবে আমাদের অগ্রগতি হচ্ছে, আমাদের আয়ু বাড়ছে, এই হার বজায় থাকলে আমাদের চারপাশের জীবজগতের উপর এর কি প্রভাব পরবে? কেমন হবে এই বিশ্ব হাজার বছর পর, কেমন হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম?

 

সবল, শক্তিশালী আর বুদ্ধিমানের টিকে থাকার বিবর্তন থেকে আমরা শুধুমাত্র চিকিৎসাশস্রের উন্নতির মাধ্যমেই যে সরে এসেছি তাও না। সামাজিক বিবর্তনেরও অনেক ভূমিকা আছে। এখন আমরা আইন কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত এক সমাজে থাকি, যাকে আমরা বলি সভ্য সমাজ। আমি আইনের ছাত্র না, কিন্তু যতটুকু বুঝি, সব লিখিত এবং অলিখিত সরকারি আইন আর সামাজিক বিধিনিষেধ, এর সবই দুবর্লকে রক্ষার জন্য। যে সজাগ তার চোরের ভয় নাই, যে শক্তিশালী তার ডাকাতের ভয় নাই। সবল, শক্তিশালী আর বুদ্ধিমানের টিকে থাকার জন্য আইনের কোন দরকার নাই। আইনের জন্মই দুবর্লকে রক্ষার জন্য। এমনকি যে সামাজিক সাধারন বিধিনিষেধ আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত আছে, তাও এই দুবর্লদের রক্ষার জন্য। যেমন বিয়ে একটা সামাজিক প্রথা। সমাজে যদি এই বিয়ের প্রথা না থাকত তাহলে সবল, শক্তিশালী আর বুদ্ধিমানদের কোন সমস্যা ছিল না, বরং যারা সবল, শক্তিশালী আর বুদ্ধিমান তারাই বংশবিস্তার করত বেশী,  দুবর্লরা বংশবিস্তার করতো কম, যা আগেরকার স্বাভাবিক বিবর্তনবাদের ধারার সাথে মানানসই ছিল। আরো ছোট আরেকটা উদাহরন দেয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা। আমাদের সমাজে বিয়ের পর মেয়েদের পর্দাশীন থাকাটা উৎসাহিত করা হয়। এর অনেকগুলো কারন আছে, তবে আমার ধারনা হচ্ছে আমাদের সমাজের পুরুষরা আত্মবিশ্বাসী না। তার চেয়ে সবল, সুস্থ আর সুন্দর পুরুষদের দেখে তার বউ যদি তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, এই ভয়ই পর্দানশীল বিধিনিষেধের উৎস। নিজেদের দুবর্লতা অতিক্রমের চেষ্টার চেয়ে এই বিধিনিষেধের বেড়াজাল তৈরি করা অনেক সহজ, তাই এর প্রয়োগও অনেক বেশী। এখানেও সেই দুবর্লতা পুশে রেখে দুবর্লকে রক্ষার চেষ্টারই প্রয়োগ দেখি।

 

আমি আইনকানুনের বিরোধি না, আইনকানুন না থাকলে আমি নিজেও টিকতাম না, বিয়ের প্রথা না থাকলে নিজের আকর্ষনীয়তা/মনোহারিতা (charm) দিয়ে বংশবিস্তারে কোন উপায়ও ছিল না আমার, বিয়ের প্রথা থাকার পরও উপায় দেখছি না। কিন্তু কথা হচ্ছে এই সবল, শক্তিমান আর বুদ্ধিমানদের স্বাভাবিক বিবর্তনের ধারায় যে ভাবে আগানোর কথা ছিল, আমরা তা থেকে যতটা সরে এসেছি, এর কি প্রভাব পরবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর? দুবর্লদের টিকিয়ে রাখার এই সামাজিক প্রবনতায় আমরা এখন শুধু্যে দুবর্লদের অধিক হারে বংশ বিস্তারকে উৎসাহিত করছি তা না, আমরা সবলদের বংশবিস্তারের হারও কমিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান বিশ্বের যারা অধিকতর সভ্য এবং শিক্ষিত, যারা জ্ঞানবিজ্ঞানে অগ্রগতির জন্য নিয়জিত, তাদের জন্মহার কমে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে অনেক দেশেরই লোক সংখ্যা দিন দিন কমছে। বাড়ছে আমাদের মত দেশে। আমাদের দেশে বিদেশ থেকে জন্মনিয়ন্ত্রনের উপকরন আসে, ফ্রী। যেসব দেশ থেকে এইগুলো আসে, তারাই আবার তাদের দেশের লোকজনদের বংশবিস্তারে উৎসাহ দেয় আর কিভাবে জানি জন্মনিয়ন্ত্রনের উপকরন গুলোর দাম আকাশছোয়া করে রাখে। আমি এক স্যারকে এই ব্যপারটা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। স্যারের উত্তরটা ছিল এমন

 

“তোমার বাসার অথবা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে তোমারদের সমান কারো বাসায় যখন নতুন শিশু আসে তুমি আনন্দিত হও, কারন তুমি জানো তাকে শিক্ষিত সভ্য মানুষ হিসাবে বড় করে তুলতে যা দরকার, তা তোমারা/তারা দিতে পারবে। এই একই তুমি আবার যখন দেখ তোমাদের বাসায় কাজ করে, প্রায় উপার্জনহীন কাজের বুয়া বস্তিতে তার ১২ নাম্বার সন্তান জন্ম দেয়, তুমি তখন ওই সংবাদে বিরক্ত হও, কারন তুমি জানো যে এই শিশুদের বড় হয়ে শিক্ষিত সভ্য মানুষ হিসাবে গড়ে উঠার সম্ভাবনা অতি অল্প। ওই বিদেশীরাও আমাদের জন্ম হার আর অভাব দেখে আতংকে থাকে। কারন জন্ম যেখানেই হোকনা কেন, পৃথিবীতো একটাই, কোন না কোন ভাবে এর প্রভাব তাদের উপরও যেয়ে পরবে, এই ভয়েই তারা জন্মনিয়ন্ত্রনের উপকরন ফ্রী পাঠায়”।

 

বিশ্বের ব্যপারটা ছেড়ে শুধু দেশের দিকে তাকালেও এই একই চিত্র চোখে পরে। দেশের ধনী আর শিক্ষিতদের মধ্যে জন্মহার, দরিদ্র আর অশিক্ষিতদের থেকে অনেক কম। ধনীদের বিয়েশাদিও আবার তাদের শ্রেনীর মধ্যেই হয়। ধনী দরিদ্রের ব্যবধান বাড়ছে দিন দিন, এবং এটা থামার কোন লক্ষনও নাই। এই অবস্থা কি আমাদের সভ্যতার তৈরি না? দুনিয়াতে শিক্ষিত আর সভ্য মানুষের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, দরিদ্র আর অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা তার চেয়ে কত গুণ হারে বাড়ছে? আইন কানুন নির্ভর বর্তমান এই সমাজব্যবস্থা যেভাবে দুবর্লদের সংখ্যায় বাড়াচ্ছে আর সবলদের আরো শক্তিশালী করছে, তার ফলাফল কি হবে? আগেরকার স্বাভাবিক বিবর্তনবাদের ধারার থেকে সরে আসার পর বর্তমানের এই সামাজিক বিবর্তনের ধারা কি ভবিষ্যতে মানুষদের মধ্যে দুইটা আলাদা প্রজাতি তৈরি করবে? মূর্খ চাকরের প্রজাতি আর শিক্ষিত ক্ষমতাবান মনিবের প্রজাতি? কেন হচ্ছে এই সব? আমরা কি কিছুই করতে পারি না? কেন পারিনা সবার জন্য মানানসই সুষম একটা সমাজ তৈরি করতে? যারা এই সমাজ চালায় তারা কি ভাবে না এই গুলো?

 

স্বাভাবিক বিবর্তনের ধারা থেকে সরে এসে আমরা আজ নিজেদের তৈরি বিবর্তনের মাধ্যমে এ কোন দিকে এগুচ্ছি? সামাজিক বিবর্তনের মাধ্যমে দূবর্লদের রক্ষা আর অধিকহারে বংশবিস্তারের সুযোগ দিয়ে দিয়ে কি আমরা এমন এক ধারা তৈরি করেছি, যার সংশোধন করার ক্ষমতা আর আমাদের হাতে নেই? তাই যদি হয়, এই ভুল থেকে আমাদের কি শেখার কিছু আছে? আমরা কি করবো? কি করতে পারি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য? হাজার হাজার বছরে, আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষরা আমাদের কল্যানের জন্য, উন্নতির জন্য, সভ্যতার জন্য, আমাদের এগিয়ে দেবার জন্য কত কষ্ট আর ত্যাগ করে গেছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য কতটুকু করছি? কি রেখে যাচ্ছি? এই নিয়ে ভাবারও কি সময় হয় নাই? প্রশ্নের কোন শেষ দেখি না। উত্তরও খুজে পাই না। এর সবই কি আমার ফালতু ভাবনা?    

 

 

জীবনটা এত ছোট, শিখতে শিখতে সময় চলে যায়, যা শিখি তারও কোন মাথামন্ডু পাই না। বুঝি একটা, করতে হয় আরেকটা। ছোট থাকতে ভেবেছিলাম বড় হয়ে সব বুঝব, কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, সব উত্তর পেয়ে যাব, কোন প্রশ্ন থাকবে না। এখন দেখি শুধু প্রশ্নই আছে, উত্তর কিছুরই নাই। যেদিকে তাকাই, সীমানা দেখা যায়, ওপারে কি আছে কেউ জানে না। বিষন্ন মনে মেনে নিয়েছি, আমার আর বড় হওয়া হবে না, প্রশ্ন আর দন্দ্ব বাড়তেই থাকবে, জানার সাথে সাথে অজানার পরিধিও বাড়তে থাকবে।  পেছনের দিকে ফিরে তাকালে এবং বিবর্তনবাদের উপর বতর্মান লেখা গুলো পড়লে, আমাদের বিবর্তন শেষ হয়ে গেছে মনে হলেও সামনের দিকে তাকালে তা আর মনে হয় না, কারন এখনো আমরা অনেক কিছু জানি না, অনেক ভুল রয়ে গেছে আমাদের ভিতরে, আমাদের সমাজব্যবস্থায়। বিবর্তনের তো মাত্র শুরু।

 

আব্দুল্লাহ আল মামুন

১২/০২/২০০৯

ডারউইন দিবস ২০০৯