ইনশাল্লা

মীজান রহমান

শুনলাম, এক পরিবারে বড় ছেলের নাম আওজুবিল্লা, মেজো ছেলের বিসমিল্লা আর ছোট ছেলের নাম সোবহানাল্লা। মনে মনে বললাম, আলহামদুলিল্লা। সাথে একটা দোয়াও পড়ে ফেললাম যেন খোদাতালা এই পরিবারের ছেলেগুলিকে কখনো আমেরিকার ইমিগ্রেশন কাউণ্টারে না পাঠান। তৌবা, কি বলে ফেললাম। খোদা ! খোদার নাম যে পাকাপাকিভাবে আল্লা হয়ে গেছে সেটা বারবার ভুলে যাই। পরিবারটির নিবাস কোথায় তা হয়ত বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে পাঠকের। ক্যানাডার এই নাসারা শহরেরই কোন এক পল্লীতে। শহরটার নাম অবশ্য নাসারা নয়, এর আদি বাসিন্দাগণই কেবল। পল্লীটি বাঙালিমহলে বাংলাদেশী পাড়া বলে আখ্যাপ্রাপ্ত হয়েছে। এখানে বাংলাদেশী মাছ থেকে শুরু করে শীলপাটা, পানসুপুরি, লোটাবদনা, আলোয়ানতবন, বোরখা কামিজ আর আমিত্তি সিঙারা সবই পাবেন। বাংলাদেশে যারা ভাল মাছ খেতে পান না তাদের অনেকেই আজকাল বছরে বছরে একবার দু’বার ক্যানাডাবাসী ছেলেমেয়ের কাছে চলে আসেন বড় বড় পেটিওয়ালা দেশী মাছ খাওয়ার জন্যে। … ( এরপর পড়ুন এখান)

 


ড. মীজান রহমান,  কানাডার অটোয়ায় বসবাসরত গণিতের অধ্যাপক। পঞ্চাশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন বেশ ক’বছর।  বিশ্লেষনধর্মী  প্রবন্ধকার হিসেবেও সুপরিচিত।  প্রকাশিত গ্রন্থ সাতটি, র্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ  ‘দুর্যোগের পূর্বাভাস’ (২০০৭)