অসম্ভবের বিজ্ঞান
(৪র্থ পর্ব)

 

অভিজি রায়

 

পর্বের পর

 

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কিংবা ফ্যান্টাসিকে বিজ্ঞানের নিক্তি পাথরে বিশ্লেষণ করার প্রচেষ্টা কিন্তু নতুন নয়।  বিজ্ঞানী লরেন্স ক্রাউস  ১৯৯৫ সালে লিখেছিলেন  ‘The Physics of Star Trek’।  বইটিতে পদার্থবিদ অধ্যাপক ক্রাউস  স্টারট্রেক সিরিজটিতে দেখানো বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারনা যেমন – সময় পরিভ্রমণ, ওয়ার্ম হোল, আলোর গতিতে স্পেসশিপের চলাচল এবং টেলিপোর্টেশনের ভবিষ্যত বাস্তবতা নিয়ে একজন পদার্থবিজ্ঞানীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করেন, সম্ভবত প্রথম বারের মত। এর পরপরই ‘দি ফিজিক্স অব …’ বা ‘দ্য সায়েন্স অব …’ প্রজাতির বই লেখার জোয়ার শুরু হয়ে যায় জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখকদের মাঝে।  আমি এ বইগুলোর নাম দিয়েছি ‘বিজ্ঞানের মাসুদ রানা সিরিজ’! আমি আটলান্টায় যেখানে থাকি তার পাশেই আছে বার্নস এন্ড নোবেল – বিখ্যাত বইয়ের দোকান। সেখানে ঢু মারলে  প্রায়ই এ ধরনের মাসুদ রানা সিরিজের অনেক বই দেখি।  কয়েকটি বইয়ের নাম তো আমি বলতেই পারি চোখ বন্ধ করে। তালিকায় থাকবে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক জেমস কাকালিওসের লেখা ‘The Physics of Superheroes’ বইটি, কিংবা জীন ক্যাভেলসের  ২০০০ সালে লিখা ‘The Science of Star Wars’।  হ্যারি পটার সিরিজের অসামান্য সাফল্যের পর ২০০২ সালে রজার হাইফিল্ডের লিখা ‘The Science of Harry Potter’-এর কথা না বললে তালিকা অসম্পূর্ণই থাকবে তা বলাই বাহুল্য।  তবে এ ‘অসম্ভবের বিজ্ঞান’ সিরিজটির পেছনে আমাকে যে বইটি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে, তা হচ্ছে অধ্যাপক মিচিও কাকুর সাম্প্রতিক বই ‘Physics of the Impossible’ (২০০৮)।

 

 

 

 

আমি পদার্থবিদ মিচিও কাকুর লেখার ভক্ত অনেকদিন ধরেই।  তার ‘হাইপারস্পেস’ পড়ে স্ট্রিং-তত্ত্বের প্রতি যে মুগ্ধতা তৈরি হয়েছিলো তা আজ অব্দি তা কাটেনি। হাইপারস্পেস বইটা বেরিয়েছিলো সেই নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি। আমার হাতে বইটা আসে ২০০১ বা ২০০২ সালের দিকে। বইটা প্রার পর  অনেক দিন ধরেই ভেবেছিলাম –  স্ট্রিং তত্ত্ব নিয়ে একখান জবরজং সায়েন্স-ফিকশান লিখে ফেললে কেমন হয়!  তখন স্ট্রিং তত্ত্বের প্রস্তাবিত দশ-এগারো মাত্রার জগটা কেমনতর হতে পারে, তা কল্পণা করতে চেষ্টা করতাম। কল্পণার পাখা মেলে দিয়ে চিন্তা করতাম ত্রিমাত্রিক জগতের মানুষেরা চতুর্মাত্রিক জগতের বাসিন্দাদের মুখোমুখি হলে কি ভয়ঙ্কর দশা হতে পারে!   না সায়েন্স-ফিকশান আর এই অধমের শেষ পর্যন্ত লেখা হয়নি – তবে আমার ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ বইটা লেখার সময় স্ট্রিং থিওরী নিয়ে একটি অধ্যায় বইয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম – ‘নাচছে সবাই সুতোর টানে’! এই লেখাটা স্বতন্ত্র প্রবন্ধ হিসেবে মুক্তমনায় প্রকাশিত হবার পর আমি অনেকের কাছ থেকে চমকার কিছু ইমেল পেয়েছিলাম। আমার স্ত্রী বন্যা তো আছেই, আমার বইয়ের পাঠকদের অনেকেই এখনো মনে করেন- এ অধ্যায়টিই নাকি আমার ওই ‘নিরস’ বইটার সেরা অংশ!  কিন্তু কাকেই বা বলি – মিচিও কাকুর বইটা না পড়া থাকলে সাহস করে আমি কি স্ট্রিং তত্ত্বের উপর লিখতে পারতাম? সুমনের গানের মতই বলতে হয় –

 

 

 

‘আমি নাগরিক কবিয়াল, করি গানের ধর্ম পালন

 

সকলে ভাবছে লিখছে সুমন, আসলে লিখছে লালন…’

 

 

 

হাইপারস্পেস বইটা পড়ার বছর কয়েকের মধ্যেই আমার হাতে আসে মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী –‘ইরন’। গল্পটা পড়ে আমার কেবলই মনে হচ্ছিল – এর পেছনে মিচো কাকুর হাইপারস্পেসের  ছায়া আছে কোথাও। থাকতেই হবে।  ইরন বইটির ভুমিকায় যদিও সে ধরনের কিছুই বলা ছিলো না। ব্যাপারটা পরিস্কার হল বেশ ক’ বছর পর জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন রচনাসমগ্র  (প্রতীক, ২০০২) হাতে আসার পর।  বইয়ের ভুমিকায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্পষ্ট করেই বললেন, তার ‘ইরন’ নামের অসামান্য উপন্যাসটির পেছনে ছিলো আসলে মিচিও কাকুর ‘হাইপারস্পেস’-এর অনুপ্রেরণা।

 

 

 

কিন্তু পাঠকেরা মনে মনে ভাবতে পারেন – মিচিও কাকুকে নিয়ে  হঠা কেন এত ত্যানা প্যাচানি?  ত্যানা প্যাচাতেই হচ্ছে কারণ, আমার এই ‘অসম্ভবের বিজ্ঞান’ সিরিজটার দার্শনিক ভিত্তি বলা যায় অধ্যাপক কাকুর ‘Physics of the Impossible’ নামের সাম্প্রতিক বইটি। বইটিতে মিচো কাকু  কল্পবিজ্ঞান লেখকদের মত কেবলমাত্র  অসম্ভব ব্যাপার-স্যাপারের কতকগুলো সফল ভবিষ্যদ্বানী করেই ক্ষান্ত হননি, এদেরকে কাটা ছেড়া করে একেবারে ফার্দা ফাই করে ছেড়েছেন। এদেরকে তিনি ভাগ করেছেন তিনটি ভাগে – প্রথম শ্রেনীর অসম্ভব্যতা, দ্বিতীয় শ্রেণীর অসম্ভব্যতা, তৃতীয় শ্রেনীর অসম্ভব্যতা।  আমিও কাকুর ভাগ গুলো ধরেই এগোই।

 

 

 

প্রথম  ভাগে  আছে  সে সমস্ত ‘অসম্ভব’ ধারনাগুলো – যে গুলো আজকের দিনে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানের কোন জানা নীতি বা নিয়ম ভঙ্গ করছে না।  কাজেই এই ভাগের অসম্ভব ধারণাগুলো মূলতঃ আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে উদ্ভুত।  প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এই তালিকার  অনেকগুলোই ধীরে ধীরে বাস্তবতা পেয়ে যাবে।  এদের কোন কোনটির সফল মঞ্চায়ন হতে পারে  কয়েক দশকের মধ্যে, কিংবা কপাল মন্দ হলে লেগে যেতে পারে কয়েক শতকও। এই শ্রেনীতে অন্তর্ভুক্ত অসম্ভবের তালিকায় আছে উড়ন্ত গাড়ি, টেলিপোর্টেশন, লেজার ঢাল, প্রতিপদার্থ ইঞ্জিন, রে-গান এবং লেজার সমরাস্ত্র, অদৃশ্যতা, আন্তঃ নাক্ষত্রিক যোগাযোগ, স্টারশিপ, মস্তিস্ক এবং কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ এবং নিয়ন্ত্রণ, সাইবর্গ, বুদ্ধিদীপ্ত রবোট ইত্যাদি।

 

 

 

দ্বিতীয় শ্রেনীর অসম্ভব্যতা হচ্ছে বিজ্ঞানের খুব অগ্রসর ধ্যান ধারণাগুলো – যেগুলোর প্রকৃতি সম্বন্ধে বুঝতে পারার মত জায়গায় আমরা সবেমাত্র যেতে শুরু করেছি।  আমরা এখনো নিশ্চিত নই – এ ধারণাগুলো একেবারেই অসম্ভব, নাকি ‘বাস্তবতা’ পেয়েও যেতে পারে কখনো। যদি বাস্তবতা কখনো বা পায়ও, তার পূর্ণ মঞ্চায়ন ঘটতে হয়ত লেগে যাবে লক্ষাধিক বছর। টাইম মেশিন, হাইপার ডাইভ, ভিন্ন মাত্রায় পরিভ্রমণ, ওয়ার্ম হোল তৈরি করে সমান্তরাল মহাবিশ্বের অধিবাসীদের সাথে যোগাযোগ – এইগুলো থাকবে এই তালিকায়।

 

 

 

তৃতীয় শ্রেনীর অসম্ভব্যতা  হচ্ছে সেগুলো যেগুলো আমাদের জানা পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র লংঘন করে; অন্ততঃ আপাতঃ দৃষ্টিতে এখন তাই মনে হচ্ছে। অবিরাম গতিযন্ত্র তৈরি, ভবিষ্য দর্শন (প্রিকগনিশন),  আলোর চেয়ে বেশি বেগে চলাচল ইত্যাদি আছে এই শ্রেনীতে। এগুলো কখনো বাস্তবতা পেলে পদার্থবিজ্ঞানের চিরচেনা ছবিটাই বদলে যাবে।

 

 

 

আমি মূলতঃ মিচিও কাকুর ভাগ গুলোকে সামনে রেখে এই সিরিজটিকে বিন্যস্ত করতে সচেষ্ট হয়েছি।  তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে  আমি অধ্যাপক কাকুর সাথে দ্বিমত পোষণ করে পার্থক্য করার প্রয়াস  পেয়েছি; কিছু কিছু ক্ষেত্রে করেছি সংযোজন কিংবা বিয়োজন। যেমন, অধ্যাপক মিচিও কাকু প্রথম শ্রেনীর অসম্ভব্যতার তালিকায় ‘টেলিপ্যাথি’ অন্তর্ভুক্ত করেছেন।  প্রচলিত অর্থে টেলিপ্যাথি ব্যাপারটা  কিন্তু বিজ্ঞানের এখতিয়ারে নয়, বরং এটা সোজা সাপ্টা – অপবিজ্ঞান। বিভিন্ন সাইকিকেরা টেলিপ্যাথি ক্ষমতার দাবী করে বিভিন্ন চিটিংবাজির মাধ্যমে মোটা অর্থ কামিয়ে নেন।  ইউরি গেলার, সিলভিয়া সহ বহু বুজরুক সাইকিকদের টেলিপ্যাথি ক্ষমতার কথা মিডিয়া জুড়ে যে ফলাও করে  প্রচার করা হয় তা আমরা জানি।  বিজ্ঞান কিন্তু এ ধরণের টেলিপ্যাথির অস্তিত্ব স্বীকার করে না।  এহেন টেলিপ্যাথিকে মিচিও কাকুর বিজ্ঞানের বইয়ে  অসম্ভব্যতার তালিকায় দেখে প্রথমে খুব অবাকই হয়েছিলাম।  কিন্তু পরে বইটি পড়তে গিয়ে বুঝলাম,  টেলিপ্যাথি বলতে মিচিও কাকু যা বুঝিয়েছেন তা হচ্ছে কম্পিউটার-ব্রেন ম্যাপিং এবং ক্ষেত্র বিশেষে এর নিয়ন্ত্রণ।  ব্যাপারটাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে সাইবর্গ।  

 

 

 

 

ছবিঃ কম্পিউটার-ব্রেন ইন্টারফেস – মডার্ন টেলিপ্যাথি?

 

বিশেষ ধরনের কিছু রোগীর ক্ষেত্রে – বিশেষতঃ যাদের অনেকেই মারাত্মক কোন দুর্ঘটনায় পড়ে বাকশক্তি হারিয়েছেন, কিংবা নড়া চড়া করার শক্তি হারিয়েছেন – এদের মস্তিষ্কে মাইক্রো-চীপ প্রবেশ করিয়ে এবং কম্পিউটারের সাথে সংযোগ ঘটিয়ে উসাহব্যাঞ্জক সাফল্য পাওয়া গেছে।  যে মানুষটি এতদিন নিস্পৃহ বা নিস্পন্দিতভাবে হাসপাতালের বিছানায় মৃতব পড়ে ছিলো,  কম্পিউটারের সংযোগ পেয়ে তার মস্তিস্ক বাইরের জগতের সাথে পুনরায় যোগাযোগ শুরু করেছে।  পুরো ব্যাপারটা চিকিসাবিজ্ঞানের জগতে ঘটাতে চলেছে নিরব বিপ্লব। আর বিজ্ঞানীরাও মানব মস্তিস্কে মাইক্রোচিপ  বসিয়ে প্রযুক্তিকে নিয়ে গেছেন হাইব্রিড মানব তৈরির ভবিষ্য সম্ভাব্যতার দিকে – যেগুলোকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে এতদিন নামাঙ্কিত করা হত ‘বায়োবট’ (বায়োলজিকাল রবোট) হিসেবে।  কিন্তু পুরো ব্যাপারটিকে মিচিও কাকুর মত ‘টেলিপ্যাথি’ বলতে আমার আপত্তি আছে। বিভিন্ন সাইকিকদের দেখানো টেলিপ্যাথির ভেল্কি যে কেবল বুজরুকি এবং অপবিজ্ঞান – তা তো আগেই বলেছি। এগুলোর অস্তিত্ব বিজ্ঞান স্বীকার করে না।  এগুলোকে সাইবর্গ নিয়ে বিজ্ঞানের আধুনিক গবেষণার সাথে মিলিয়ে ফেলা অন্যায়ই হবে।

 

 

 

ছবিঃ টার্মিনেটরের সাইবর্গ কি অচীরেই বাস্তবতা পেতে চলেছে?

 

 

 

আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুযায়ী, কোন জড় কণার সাধ্য নেই আলোর সমান বা তার চেয়ে বেশী বেগে চলাচলের। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানীরা কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে টেকিয়ন কণার অস্তিত্ব তাত্ত্বিকভাবে হলেও গণ্য করেন, যার বেগ আলোর গতির চেয়ে বেশি। যদিও পরীক্ষাগারে এই টেকিয়ন কণার কোন পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ পাওয়া যায়নি, কিন্তু ধারনা করা হয় মহাবিশ্বের উদ্ভবের সময় এই সমস্ত কণাগুলোর প্রভাব ছিলো ব্যাপক।  মিচিও কাকু ‘আলোর চেয়ে বেশি’ বেগে চলাচলের সম্ভাব্যতাকে দ্বিতীয় শ্রেনীর সম্ভাব্যতার তালিকায় রাখলেও আমি রেখেছি তৃতীয় শ্রেনীতে।  কারণ আমি মনে করি, এটি কোনদিন বাস্তবতা পেলে আমাদের চিরচেনা পদার্থবিজ্ঞানকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে।

 

 

 

অমরত্ব নিয়ে গবেষণা নতুন কিছু নয়। মৃত্যুকে জয় করার চেষ্টা মানুষের বরাবরের। দীর্ঘজীবন প্রাপ্তি নিয়ে গবেষণা উন্নত বিশ্বে ইতোমধ্যেই বেশ অগ্রসর হয়েছে; কিন্তু মৃত্যুকে জয় করা এখনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই কোয়ান্টাম অমরত্বের কথা বলছেন, কৃত্রিমভাবে ‘এন্টি এজিং কম্পোনেন্ট’ বানাতে পেরেছেন করছেন যা দেহের অপচিতি প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়, এমনকি ক্রাইয়োনিক প্রক্রিয়ায় দেহকে সংরক্ষণ করে এর বিপাক ক্রিয়া মন্থর করে দেবার গবেষণাও ইদানিং অনেক ফলপ্রসু হয়েছে।  তাহলে অদূর-ভবিষ্যতে সত্যই কি কখনো মৃত্যুকে জয় করা সম্ভব হবে? হলফ করে এখনো বলা যায় না। কিন্তু এটি বলা যায়, মৃত্যুকে জয় করা গেলে কবির অলংঘ্য বাণী – ‘জন্মিলে মরিতে হবে’ – নামক ‘সার্বজনীন সত্য’  মিথ্যে হয়ে যাবে – বদলে যাবে পৃথিবীর ইতিহাস পরিক্রমা।  আমি সঙ্গত কারণেই অমরত্বকে রেখেছি তৃতীয় শ্রেনীর অসম্ভব্যতার তালিকায়।

 

  
ছবিঃ
মানুষ কি মৃত্যুকে জয় করবে  শেষ পর্যন্ত?

 

 

 

কাজেই আমার করা তালিকাটি ছকের মত সাজালে দেখাবে অনেকটা এরকম

 

প্রথম শ্রেনীর অসম্ভব্যতা

* টেলিপোর্টেশন
* অদৃশ্যতা
* লেজার ঢাল
* প্রতিপদার্থ ইঞ্জিন
* রে-গান এবং লেজার সমরাস্ত্র
* আন্তঃ নাক্ষত্রিক যোগাযোগ
* উড়ন্ত গাড়ি এবং  স্টারশিপ
* সাইবর্গ এবং বুদ্ধিদীপ্ত রবোট

 

দ্বিতীয় শ্রেনীর অসম্ভব্যতা

* টাইম মেশিন
* হাইপার ডাইভ এবং  ভিন্ন মাত্রায় পরিভ্রমণ
* সমান্তরাল মহাবিশ্ব
* ভ্যাকুয়াম (শূণ্য)
থেকে শক্তি

 

তৃতীয় শ্রেনীর অসম্ভব্যতা

* অবিরাম গতিযন্ত্র তৈরি
* ভবিষ্য
দর্শন (প্রিকগনিশন)
* আলোর চেয়ে বেশি বেগে চলাচল
* অমরত্ব অর্জন

 অসম্ভব্যতার ভবিষ্য

 

 

আপাতত  উপভোগ করুন আল জাজিরায় অধ্যাপক মিচিও কাকুর ‘ফিজিক্স অব ইমপসিবল’ নিয়ে একটি মজার সাক্ষাকার –

 

 

(১)

 

 

(২)

 

 

আমি আগামী পর্ব থেকে একে একে তালিকাভুক্ত বিষয়গুলোর কারিগরী ব্যাপার নিয়ে আলোচনা শুরু করব।  প্রিয় পাঠক আপনি কি প্রস্তুত? ফ্যাসেন ইয়োর সিটবেল্ট!

 

নভেম্বর ১০,

 

চলবে…

 

 

 


. অভিজি রায়, মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক; ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ ও ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজগ্রন্থের লেখক সাম্প্রতিক প্রকাশিত সম্পাদিত গ্রন্থ – ‘স্বতন্ত্র ভাবনা’। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয়? শীর্ষক গ্রন্থ সম্পাদনার কাজে নিয়োজিত।  ইমেইল : [email protected]