লেখকঃ স্বচ্ছ আহমেদ
আমি একজন মুক্তমনা। হাঁ আমি এখন সম্পূর্ণ মুক্ত মনা – যখন বয়স আমার চল্লিশ ছুই ছুই।
কেন? একটা প্রধান কারণ – অভিজিৎ দার মৃত্যু। অভিজিৎদার মৃত্যুতে ভাবলাম (তাকে আমি আগে থেকে চিন্তাম না) আচ্ছা দেখি একটা তার বই পড়ে। পড়লাম অবিশ্বাসের দর্শন, পরলাম বন্যা আহমেদ এর বিবর্তন নিয়ে বই টা। এর পরে কি হল?
তা পরে বলি। প্রথমে নিজের কিছু হিস্ট্রি বলার ইচ্ছাটা দমাতে পারছিনা।
আমার জন্ম মুসলিম পরিবার এ – মডারেট বলা যায়। বাবা মা ধর্মপ্রাণ হলেও কখনও আমার বা আমার ভাই বোনদের উপরে ধর্ম নিয়ে কোন জোর জবরদস্তি ছিলনা। ক্লাস ৭-১০ পর্যন্ত আমি খুব ধর্ম প্রান ছিলাম – উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় – আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম, তার মধ্যে ৪ বেলা মসজিদে গিয়ে। সোমবার থেকে রবিবার কিছু বিশেষ অতিরিক্ত নামাজও পড়তাম। এতটাই নেশা ছিল যে আমি এক সময় মসজিদে ইমামের পিছিনে দাঁড়াতাম, এতে সেই মসজিদের মুয়াজ্জিন একবার বেশ চেতে গিয়েছিল।
ধর্মীয় বই পড়া নেশা হয়ে গিয়েছিল – যেমন নেয়ামুল কোরান আর মক্সুদুল মুমিনিন। অস্বীকার করবনা যে কিছু এডালট অংশ বার বার পড়তাম তবে জান্নাতের আরাম শুনে মাথা বারবার খারাপ হয়ে যেত। যাই হোক তখন আমাকে সবাই আদর্শ ছেলে বলেই জানত – পারিবারিক ভাবে আর ইস্কুলে। শিক্ষকরা আমার উদাহরণ টেনে অন্য ছাত্রদের নিয়মিত নামাজ পড়ার উপদেশ দিতেন।
আরজ আলি মাতুব্বর এর সত্যের সন্ধানে বই টা আমার পরার সুযোগ হয়েছিল ইন্টারমেডিট পরার সময় – যদিও ওই বয়েসে বইটা ঠিক মাথায় হিট করেনি। ঠিক কি কারনে নামাজ পরা ছেড়ে ছিলাম টা মনে নেই – সম্ভবত আলসেমি করেই, কিংবা পড়াশুনার চাপে। এরপর আমি কখনওই আর নিয়মিত নামাজ পড়িনি, শুধু বছরে ২ বার ঈদের নামাজ ছাড়া (তাও আবার মাঝে মাঝে আলসেমি করে ঈদের দিনেও মসজিদে যেতাম না)। রোযা কবে ছেড়েছি তাও মনে নেই। দেশে থাকতে তাব্লিগের অত্যাচারে বিরক্ত ছিলাম এবং আমি কখনই ওদের সাথে রাস্তায় নেমে পড়িনি – বলতাম আপন্সরা যান আমি পরে মসজিদে ছলে আসছি – যদিও যাইনি কখনও। (দেশ ছাড়ার আগে অবশ্য জানতাম না যে বিদেশেও এই তাব্লিগ প্রবলেম আছে হাহা!)।
আমি আমার সারা জীবন সেকুলার মাউণ্ডেড ছিলাম – আমার যেমন কাছের মুসলমান বন্ধু ছিল তেমনি কাছের হিন্দু বন্ধুও ছিল – কখনো কোন ধর্মীয় ইস্যু আমাদের মধ্যে কাজ করতনা। একটা বিড়ী সবাই যেমন শেয়ার করতাম, ওদের পূজায় যেতাম, তেমনি ঈদের দিনে কূলাকূলীও করতাম। এখন বুঝি আমি তখন মোডারেট মুসলিমও ছিলাম। কেন? নামাজ পড়ার কোন নাম গন্ধ না থাকলেও – মুসলিম হবার (নামেই মুসলিম ছিলাম যদিও) কারণে জন্ম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা শুনলে বা কিছু দেখলে খারাপ লাগত। যেমন বাবরী মসজিদ ভাঙার পর খুব মন খারাপ হয়েছিল, ৯/১১ এ অবচেতন মনে খুশিই হয়েছিলাম। আর দশটা ধর্মপ্রাণ মানুষের মতোই হয়ত ভাবতাম বয়স হলে তওবা করে আবার ধর্মীয় জীবনে ফেরত যাবো।
আমি বাংলাদেশে থাকতে মাঈল্ড বীএনপি সাপোর্ট করতাম এবং অজানা কারণে আওয়ামী লীগ কে হেইট করতাম। কেন? কারণ ছোটোবেলা থেকেই আমাদের মাথার মধ্যে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল যে আওয়ামী লীগ মানেই অশুভ, আওয়ামী লীগ মানেই বাকশাল। সেটাই মেনে নিয়েছিলাম, কখনো মাথায় আসেনি যে বাকশাল মানে কি টা জানার চেষ্টা করব। সেই সময় অন্ধভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট টীম কে সাপোর্ট করতাম আর পাকিস্তান কে কেউ ফালতু কথা বললে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ভারতকে আলোচনায় নিয়ে আসতাম।
যাই হোক, শাহবাগ আন্দোলন এর সময় আমি (যদিও আমি প্রবাসী) আমি বুঝতে পারলাম বাংলাদেশে ধর্মীয় গোঁড়ামি কতো গভীরে। হেফাজতে ইসলাম এর অগণিত মানুষকে টেলিভিশনে দেখে আমি হতভম্ব হয়ে ভাবছিলাম এই দেশের কি আর কোন ভালো ভবিষ্যৎ আছে? গত ১০-২০ বছরে ১৯৮০ সময়কার বোনা বিজটা বড় হয়ে এখন বটবৃক্ষ হয়ে শিকড়ের মতো ছড়িয়ে পরেছে।
একের পর এক মুক্তমনাদের চাপাতির আঘাতে মৃত্যু দেখে অভিজিৎদার বইটা (অবিশ্বাসের দর্শন) পড়লাম – অনেক ভূল ভাঙল। এরপর আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী। তারপর পড়লাম বন্যা আহমেদের বিবর্তনের পথ ধরে, তারপর আকাশ মালিকের – যে সত্য বলা হইনি।
এক বছরে আমার অনেক মানসিক পরিবর্তন হয়েছে, চিন্তা চেতনার ধারা বদলেছে। আমার কাছে এখন সব ধর্মের অসংগতি, মোডারেট ধর্মীয় মানুষদের চিন্তা ভাবনার অসাড়তা, সব কিছুতে ইস্রায়েল/আম্রিকাকে টেনে আনার বোকামি, ধর্মগ্রন্থ অবিকৃত আছে নিয়ে ভগিচগি ইত্যাদি দিব্যলোকের মত পরিষ্কার।
আমি এখন আর কোন ধর্মে বিশ্বাস করিনা, বুড়া বয়স হলে আবার জন্ম ধর্মে ফেরারও আর কোন ইচ্ছা নেই। বরং আমি এখন আবার ছোটবেলার মতো বই পরা শুরু করেছি, তবে এই বই গুলো কোন কল্প কাহিনি নয়, এগুলো বিগ ব্যাং, স্ট্রিং থিওরি, জেনেটিক্স আর ন্যাচারাল সিলেকশান এর উপর।
অভিজিতদা আর সকল মুক্তমনাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ আমার মনের চোখটাকে পুরোপুরি খুলে দেবার জন্য। জীবনটা অনেক ছোট, যতদিন বাঁচি – সৎ ভাবে যেভাবে থেকেছি, সেভাবে থাকব, অসাড় প্রার্থনায় সময় নষ্ট না করে যতপারি আর বেশী করে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করে যাব।
আজ হয়ত কলম বা কিবোর্ডের জবাবে চাপাতি আর রামদা চলছে, কিন্তু আমরা জানি হাতেগোনা কয়েকজন মানুষের যুক্তিবাদী লেখা আজ কত লাখ কোটি মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করেছে, হয়তোবা তাদের অনেকের মধ্যে বিশ্বাসের ভীত কিছুটা হলেও নড়ে যাচ্ছে, যেমন হয়েছে আমার ক্ষেত্রে।
মুক্তমনাদের তোমরা কখনই থামিয়ে রাখতে পারনি, কখনো পারবেওনা, পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে।
(এটা আমার জীবনের প্রথম লেখা, মনের অনেক জমা কথা ছিল সেজন্য হয়ত একসাথে লিখে ফেললাম – সৎ কমেন্ট করে মন্তব্য দিলে খুশি হব কেননা আরও লিখতে চাই। আরও বেশী মুক্তমনা আমাদের অনেক প্রয়োজন।)
সবার উপরে মানুষ ।।
জয় হোক মানবতার ।।
একটি লেখা যখন ব্লগে পোষ্ট হয় তখন সেই ব্লগের লেখাটি পড়ে যত না মজা লাগে, তার থেকে বেশি মজা লাগে এর মন্তব্যগুলো পড়ে। যুক্তি তার পিঠে পাল্টা যুক্তি একটি প্রতিযোগীতার পরিবেশ তৈরী করে যা আমার মত জ্ঞান পিপাসুদের জন্য জ্ঞানের একটি উৎস। আমার মন্তব্য পড়তে খুব ভাল লাগে তবে যদি এটা আমার পক্ষে যায়। কারণ আমি মনে করি পৃথিবীর বিশেষ করে বাংলাদেশের কেউও নিরপেক্ষ নয়। কারণ সবাই একটা না একটা পক্ষ নিয়ে কথা বলে এবং বলবে। যেমন আমাদের ”অতিথি লেখক” তিনি আগে ধর্মে বিশ্বাস করতেন আমি নিশ্চিত তিনি আগে ধর্মের পক্ষে কথা বলেছেন কিন্তু এখন তার চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটেছে সাথে সাথে পক্ষেরও। যাইহোক ধর্মে বিশ্বাস করা না করা তার একান্তই নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার। এবিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবনা। তবে আমার ব্যাপারে বলতে গেলে আমি ধর্মে বিশ্বাস করি সুতরাং আমি এর পক্ষেই কথা বলব। আমি বুঝতে পারি না, ধর্মে বিশ্বাস করলে এর খারাপ দিকটা কোথায়। আমি মিথ্যা বলিনা কারন বললে পাপ হবে, আমি চুরি করিনা কারন করলে পাপ হবে, আমি বড়দের সম্মান করার চেষ্টা করি সাথে আমাদের অতিথি লেখক কেউ কারন না করলে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে এছাড়াও আরও অনেক খারাপ কাজ যেগুলো আমি করিনা কারণ পাপ হবে পরকালে শাস্তি পেতে হবে। এখন আমি যদি ধর্মে বিশ্বাস করা ছেড়ে দেই, যদি ইশ্বরে বিশ্বাস করা ছেড়ে দেই সাথে সাথে পরকালে বিশ্বাস করা ছেড়ে দেই তাহলে আমার প্রশ্ন “কোন দর্শন, কোন যুক্তি ও কোন বিশ্বাসের অজুহাতে এসব করা থেকে আপনি আমাকে বিরত রাখবেন?” কারণ আমি মিথ্যা বলব, চুরি করব, নেশা করব যত খারাপ কাজ আছে করব পরকাল-ই নেই তার আবার ভয় কিসের। ধন্যবাদ।
কিন্তু আপনাদের ছায়া হবো।
অভিজিৎ, হুমায়ুন আজাদ, নিলয়, অনন্ত বিজয়, বাবু, রাজিব, দীপন- আমরা আপনাদের মতো হতে পারবো না, ক
“আমি এখন আর কোন ধর্মে বিশ্বাস করিনা, বুড়া বয়স হলে আবার জন্ম ধর্মে ফেরারও আর কোন ইচ্ছা নেই। বরং আমি এখন আবার ছোটবেলার মতো বই পরা শুরু করেছি, তবে এই বই গুলো কোন কল্প কাহিনি নয়, এগুলো বিগ ব্যাং, স্ট্রিং থিওরি, জেনেটিক্স আর ন্যাচারাল সিলেকশান এর উপর।”
জনাবা নামহীনা, আপনি আমাকে শেষ পর্যন্ত গণিত থেকে যুক্তি বিদ্যায় নামিয়ে আনলেন । যুক্তি বিদ্যায় অবাস্তব যুক্তি, যুক্তি হিসাবে গণ্য নয় । যেমন ঘোড়ার প্রাণ, আছে মানুষের প্রাণ আছে, সুতরাং ঘোড়া হয় মানুষ । কিন্তু বাস্তবে ঘোড়া মানুষ নয় । যুক্তির বাস্তবতা না থাকায় এ যুক্তি গ্রহণ যোগ্য নয় । আপনার যুক্তিও তদরূপ, যেমন আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী, সর্ব শক্তিমান যদি তিনি উত্তোলন করতে পারেন না এমন কিছু তৈরী করতে না পারেন অথবা তিনি তৈরী করতে পারলেও তিনি যদি উত্তোলন করতে পারেনা এমন বস্তু তৈরী করার পর উহা উত্তোলন করতে না পারেন তাহলে তিনি সর্ব শক্তিমান নন । আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনার প্রশ্নের উত্তর ইয়েস অথবা নো যাই হোক না কেন উভয় অবস্থায় সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বিকার করা যায় । কিন্তু বাস্তবে এ যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায়না। কারণ বাস্তবে সর্বশক্তিমান উত্তোলন করতে পারেননা এমন বস্তু নেই । আবার তিনি তৈরী করতে পারেনা এমন বস্তও নেই । যা আমরা ইতিপূর্বে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করেছি । সুতরাং আপনার উভয় যুক্তি, যুক্তি বিদ্যার নিয়ম অনুযায়ী অগ্রহণযোগ্য । আপনার যুক্তি মেনে নিলে ঘোড়াকেও আজ থেকে মানুষ বলতে হবে । যা সম্ভব নয় । সুতরাং আপনার যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানকে অস্বীকার করাও সম্ভব নয়। আশাকরি আপনি এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর বুঝতে পারবেন । শুভ কামনা রইল ।
জনাবা নামহীনা, আপনি আমাকে শেষ পর্যন্ত গনণত থেকে যুক্তি বিদ্যায় নামিয়ে আনলেন । যুক্তি বিদ্যায় অবাস্তব যুক্তি, যুক্তি হিসাবে গণ্য নয় । যেমন ঘোড়ার প্রাণ, আছে মানুষের প্রাণ আছে, সুতরাং ঘোড়া হয় মানুষ । কিন্তু বাস্তবে ঘোড়া মানুষ নয় । যুক্তির বাস্তবতা না থাকায় এ যুক্তি অগ্রহণ যোগ্য নয় । আপনার যুক্তিও তদরূপ, যেমন আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী, সর্ব শক্তিমান যদি তিনি উত্তোলন করতে পারেন না এমন কিছু তৈরী করতে না পারেন অথবা তিনি তৈরী করতে পারলেও তিনি যদি উত্তোলন করতে পারেনা এমন বস্তু তৈরী করার পর উহা উত্তোলন করতে না পারেন তাহলে তিনি সর্ব শক্তিমান নন । আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনার প্রশ্নের উত্তর ইয়েস অথবা নো যাই হোক না কেন উভয় অবস্থায় সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বিকার করা যায় । কিন্তু বাস্তবে এ যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায়না। কারণ বাস্তবে সর্বশক্তিমান উত্তোলন করতে পারেননা এমন বস্তু নেই । আবার তিনি তৈরী করতে পারেনা এমন বস্তও নেই । যা আমরা ইতিপূর্বে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করেছি । সুতরাং আপনার উভয় যুক্তি, যুক্তি বিদ্যার নিয়ম অনুযায়ী অগ্রহণযোগ্য । আপনার যুক্তি মেনে নিলে ঘোড়াকেও আজ থেকে মানুষ বলতে হবে । যা সম্ভব নয় । সুতরাং আপনার যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানকে অস্বীকার করাও সম্ভব নয়। আশাকরি আপনি এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর বুঝতে পারবেন । শুভ কামনা রইল ।
যে অংকের ফল শূণ্য সে অংক দিয়ে কি সর্বশক্তিমানকে ঘায়েল করা যায়? সর্ব শক্তিমানতো এক। অবশ্য সর্বশক্কিমানকে কোন কিছু দিয়েই ঘায়েল করা যায় না । কারণ তিনি সর্বশক্তিমান।
এটা কি আপনার ইয়েস নো প্রশ্নের উত্তর?
জনাবা নামহীনা, বুঝতে পেরেছি, আপনার কল্পিত সে বস্তু হল ঘোড়ারডিম। যা সম্পূর্ণ অবাস্তব। আমরা জানি ঘোড়ার মোটে ডিমই হয়না, সুতরাং এটা বানানো বা উত্তোলন করার প্রশ্নটাই একটা অবান্তর এবং সম্পূর্ণ অযুক্তিক প্রশ্ন। শত্তির সম্পর্ক বাস্তবতার সাথে, অবাস্তবতার সাথে নয়। আপনার দেহের প্রাণ একটা শক্তি। এটা ঘোড়ার ডিমে সঞ্চারিত করা যাবেনা এটাতো সুনিশ্চিত। এখন আপনি কি তাহলে বলবেন, আপনার প্রাণ কোন শক্তি নয়? আপনি কি বলবেন আপনার প্রাণ নেই? আপনি কি বলবেন, আপনার প্রাণ অবাস্তব? এসব কথা একবার বলেই দেখুননা, মানুষ আপনাকে কি বলে? অবাস্তব ঘোড়ার ডিমের সাথে হ্যাঁ বোধক অথবা না বোধক সম্পর্ক না থাকায় যদি একটা সীমিত শক্তি কেই অস্বীকার করা না যায়, তবে এমন অযুক্তি দিয়ে শক্তির পুঞ্জিভুত রূপ অসীম সর্ব শক্তিমানকে কিভাবে, কিভাবে অস্বীকার করা যাবে? এমন অস্বীকৃতি অসম্ভব। সর্ব শক্তিমান সকল বাস্তব ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। অবাস্তবতার সাথে তাঁর কোন ষম্পর্ক নেই। অবাস্তবতার সাথে সম্পর্ক থাকা অথবা না থাকার কারণে কোন কিছুর স্বীকৃতির অথবা অস্বীকৃতির কোন সম্পর্ক নেই।সুতরাং নাস্তিক্যবাদ একটি অযুক্তিক মতবাদ। (প্রমাণীত)
জনাবা নামহীনা, আপনার প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছি ।
আমি আবারো পরিষ্কার করে বলছি
আপনি একজন সরবশক্তিমানের অস্তিত্ত প্রমান করলেন। সুতরাং তিনি সবই করতে পারবেন। তাঁর পক্ষে সব ই সম্ভব। তাহলে তিনি কি এমন একটি বস্তু সৃষ্টি করতে পারবেন যেটা তিনি নিজেও অথতে পারবেন না???
অরথাত মানুষ যেমন করে কন ভার উত্তলন করে।
ধর্মান্ধ অযুক্তিবাদীদের সাথে তর্ক করা বৃথা। সুন্দর যৌক্তিক লেখা আপনার। :good: :good: :good:
আপনি সঠিক ই বলেছেন। ধন্যবাদ 🙂
:good:
জনাবা নাম হীনা, আপনার একটা প্রশ্ন আমি এখনো ঠিকমত বুঝে উঠতে পারিনি তাই উত্তর দিতে পারলাম না । আগেতো প্রশ্নটা বুঝি তারপর উত্তর ঠিক ঠিক দিয়ে দেব । পরীক্ষাকেন্দ্রেও এমন হতো । প্রশ্ন না বুঝলে উত্তর দিতে পারতাম না । অনাকাঙ্খিত অপারগতার জন্য সরি।
মম আপনার কথা ষোলআনা সঠিক । চাপাতিবাদ নিপাত যাক ।
জনাবা জয়ন্তিকা আপনি আপনার মতে অন্ধ, আর আমি আমার মতে অন্ধ সুতরাং আমরা একজন একজনকে অন্ধ বলব এটাই স্বাভাবিক । আসলে আমরা সব সময় নিজেদের মতটাকেই ভাল দেখি, অপরের মতটাকে কম দেখি অথবা অনেক সময় দেখিইনা। এজন্য অপর পক্ষকে এমন অন্ধ অন্ধ মনে হয় । কোন চিন্তা নেই আপুমনি সাদা ছড়ি আছে না ! আধুনিক বিশ্বতো সবার ব্যবস্তা আছে । আর আপনি আমার সম্পর্কে যা বল্লেন আপার সম্পর্কেও আমি একই রকম কথা বলতে পারি । কার মুখে বেড়া দেয় কে? বাক স্বাধীণতা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । স্বচ্চ ভাইয়ের স্বচ্চ কথা পড়তে ভালো লাগে, শুনতে ভাল লাগে, বলতেও ভাল লাগে । এজন্যই তাকে আমি বলেছিলাম ভদ্রলোক। অবশ্য স্বচ্চ ভাইয়ের আস্তিক্যবাদ বিরোধী কথা আমি বিন্দুমাত্র সমর্থন করি না।
আমার নিকট একজন নির্ভর যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন আমার মা । তিনি বলেছিলেন জনাব নাজির আহমদ চৌধুরী আমার পিতা । আমি এটা বিশ্বাস করেছি । কিন্তু আমার এ বিশ্বাসের সপক্ষে আমার নিকট কোন প্রমাণ ছিলনা । আমার এ বিশ্বাস আমাকে পাইয়ে দিয়েছে পিতৃস্নেহ মায়ের আদর । আমি যদি মায়ের কথা চ্যালেঞ্জ করতাম তাহলে আমি তাদের আদর ও স্নেহ দু’টোই হারাতাম । এখন বিজ্ঞানের সাহায্যে ডি এন এ টেস্টের মাধ্যমে আমার মায়ের কথা প্রমান করা যায় । অবশ্য যদি কেহ ডি এন এ টেস্টের রিপোর্ট বদলে না ফেলে । তা’ ছাড়া জিন প্রযুক্তি আমাদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করেছে । সে কথাই আমি বলেছি যে, বিশ্বাস কেও বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণ করা যায় । আমার আস্তিক্য বাদের বিশ্বাসও অন্ধ বিশ্বাস নয় এর যথাযথ প্রমাণ আমার নিকট রয়েছে বলেই আমি আস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী । আমার নিকট যা রয়েছে আপনাদের নিকট তা’নেই বলেই আপনারা নাস্তিক। যে চোর সে মনে করে তার বাপও মনে হয় চোর ছিল, নতুবা সে চোর হল কেমন করে । বাস্তবে উপলব্ধিগত ভিন্নতার কারনেই মানুষের মতামতে এমন ভিন্নতা । সব উপলব্ধি যেমন সঠিক নয় তেমন সব উপলব্ধি ভুল নয় । পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে, জীবনের নানাবিধ হিসাব নিকাশের কারণে আমাদের বিশ্বাস করতে হয় আগে, আর এর সত্যতা খুঁজতে হয় পরে । আর আবেগের কথা যদি বলি, এটা দরকারী না হলে এটা চিরকাল টিকে আছে কেমন করে? আবেগ, বিবেক, যুক্তি, বিজ্ঞান, বিশ্বাস, ভালোবাসা সব বাদ দিয়ে আমরা আরজ আলী মাতুব্বরের সত্য নাম দেয়া রূপকথা মেনে নিতে পারবনা । তথাপি জনাবা নাম হীনা, আপনি যেহেতু বলেছেন, আরজ আলী মাতুব্বরের বইখানা একবার হাতের নাগালে পাই তো মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেব । তবে নাস্তিক্য বাদ যে, মানুষের কোন কল্যাণে লাগে এটাই এখনো বুঝতে পারলাম না । অথচ বেহেশত আর স্বর্গের আশায় মানুষ কত ভাল কাজ করে । আর নরক আর দোযগের ভয়ে কত খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে তার কোন হিসেব নেই । তাই আস্তিক রবীন্দ্র নাথের ভাষায় বলতে হয় ধর্মই সকল মঙ্গল হিংটাং চট। আর জ্ঞানের কথা বল্লেন? হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত জ্ঞানে জানি আমার বিশ্বাস আমার ধর্ম শতকরা একশত ভাগ সঠিক।
আমার জেনে অত্যন্ত ভাল লেগেছে যে আপনার জ্ঞান কে জিনম তত্ত্ব অনেক স্ম্রিদ্ধ করেছে।আর এই আপনি ই কিনা প্রমান করলেন ডারুইনবাদ ভুল।জিনেতিক্স কিন্তু বিবর্তনবাদ কে স্পষ্ট করে তুলে ধরে।
আর কন কিছুর মন্তব্য করার পুরবে একবার দেখে নিলে ভাল হয়।আরজ আলি মাতুব্বর কখনই রুপকথা লেখেন্নি।আপনি যদি পড়েন তবে বুঝতে পারবেন।আর আমার মনে হয় না আপনি একজন ধর্মান্ধ ব্যাক্তি।শুধু আপনার চলার পথ ভিন্ন।আর হয়ত অনেক (আপনার কাছে) অনাবিষ্কৃত পথ রয়েছে যেখানে আপনি এখন চলে দেখেননি কেমন।আর আপ্নার কাছে নাস্তিকতা নিএ আমাকে ব্যাখ্যা করতে হবে না।আমি মনে করি আপনি একদিন সঠিক উত্তর পাবেন।
শুভকামনা রইল।
অসি অপেক্ষা মসি বড়। চাপাতিদের জ্ঞান দাও।
:good:
@ফরিদ আহমদ,
আপনি বললেন -“নির্ভর যোগ্য ব্যাক্তির বক্তব্য সত্য মেনে এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাকে বিশ্বাস বলে । যেমন বিজ্ঞানী বলেছেন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে, বিজ্ঞানীর কথায় বিশ্বাস করে আমি সেটা মেনে নিয়েছি । বাস্তবে বিজ্ঞানী যা জানে আমি তা’ জানি”
হা তাহলে বলতেই হবে যে আপনি বিজ্ঞানের এক্তা তত্ত বিশ্বাস করেন।কিন্তু আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে – বিজ্ঞান বিশ্বাস কিংবা উপলব্ধি করার মত বিষয় না।বিজ্ঞানের ইতিহাস ঘাটলে অনেক তত্ত পাওয়া যাবে যেগুলো ভুল প্রমানিত হওয়ার কারনে হারিএ গেছে।আপনি কি থেলিসের আমলে জন্ম নিলে তাকে আস্থাভাজন ব্যাক্তি মনে করে বিশ্বাস করতেন যে প্রিথিবি মহাবিশ্ব এর কেন্দ্রে আছে?
কিংবা আমাদের চখের থেকে আল বের হয় বলে আমরা দেখতে পারি??!
আর বিজ্ঞানের বিষয় গুলো আহামরি কঠিন না।বিজ্ঞানের জগত হল যুক্তি তরকের জগত। জ্ঞান কে বিশ্বাস এর সাথে মেলালে আপ্নারি সমস্যা হবে।
আর যদি সর্বশক্তিমান এর কথা বলেন তবে আমি পরিষ্কার করেই প্রশ্ন করি -তার পক্ষে কি এমন কন জিনিশ তইরি করা সম্ভব যেটা তিনি নিজেই উত্তোলন করতে পারবেন না?
আপনার উত্তর হ্যা কিংবা না দুতর জন্যেই সর্বশক্তিমান অস্তিত্তহিন হয়ে যায়।
আপনাকে আরজ আলি মাতুব্বর এর সত্যের সন্ধানে বই টা পরার অনুরোধ করছি।
জনাব স্বচ্চ আহমেদ, আমার উপপাদ্য প্রমাণ সহই উপস্থাপন করা আছে । এখন শুধু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই হবে । উপপাদ্যের সোর্সের দরকার হয়না প্রমানই যথেষ্ট । আপনাকে ভদ্র বল্লাম, বিশ্বাসীদেরকে আঘাত দিয়ে কথা বলেননি বলে । আপনার অবিশ্বাস আপনি লুকিয়ে রাখেননি । সুতরাং নাস্তিক হলেও আপনি কপট নন। কপট কিন্তু সবচেয়ে মন্দ । পৃথিবীতে সব পদের মানুষ থাকবে । সবার স্বার্থে সবার শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান জরুরী ।
ইসলামের বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে । এর ভীত মজবুত না হলে এমনটা হতোনা । কেউ ইসলামের সত্যতা ও বাস্তবতা না দেখলে সেটা তার অন্ধত্ব । এর কোন দায় ইসলামের নেই । মনে করুন আল্লাহ আছেন, আমি তাকে খুঁজে পেয়েছি কিন্তু আপনি পাননি । এখন আমাদের দুজনের বক্তব্য দুরকম হয়ে গেল । যেহেতু আমি আল্লাহকে পেয়েছি, এখন আপনি গলা ফাটিয়ে আল্লাহ নেই বল্লেও আমি আপনার কথা সমর্থন করবনা । আমি বরং বিনয়ের সাথে বলব ভাই আপনার খোঁজায় ত্রুটি হয়েছে তাই আপনি পাননি। এখন আপনি পাননি বলে আমি যা পেলাম আমিতো সেটা অস্বীকার করতে পারিনা। এখন কথা হল কেউ যদি থাকে দক্ষিণদিকে আপিনি তাকে উত্তর দিকে হাজার খুঁজলেওকি পাবেন?
আমি আপনাদের সম্পাদকের নিকট আরো তিনটি উপপাদ্য পাঠিয়েছি। আদম কিন্তু পৃথিবীতে এসেছে দশ হাজার বছর আগে। এর আগের যে মানুষের কথা বলা হয় সে গুলোকে কেউ মানুষ বল্লেও সে গুলো কিন্তু মোটেও আদম সন্তান নয়। আদম সন্তান মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি। আর মানুষ আকৃতির কিন্তু প্রকৃতিতে মানুষ নয় এরকম এক দলের নাম আল্লাহ দিয়েছেন ইয়াজুজ ও মাজুজ্। একদলের নাম দিয়েছেন হুর, যারা জান্নাতের সেবিকা । একদলের নাম দিয়েছেন গেলমান, যারা জান্নাতের সেবক। আল্লাহর ভাষায় এরা কেউ কিন্তু মানুষ নয় । ক্বোরআনে এদের কাউকে মানুষ বলা হয়নি। ডারউইন যে মানুষের কথা বলছে সেই মানুষ পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পর । জ্বীনরা পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে। জ্বীনরা বিলুপ্ত হওয়ার পর অনেক কাল পরে আবার আল্লাহ আদম ও শয়তানকে একত্রে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন । বর্তমান মানুষ আদম সন্তান । পূর্বকার সেই সাইন্টিফিক মানুষেরা এখন আর অবশিষ্ট নেই। আর জ্বীনদের অবস্থান মহাসমূদ্রের মাঝখানে। মানুষ এখনো সে স্থানে যেতে পারেনি। জ্বীনেরা তাদের আবাস মানুষের পদচারণা থেকে মুক্ত রাখতে পেরেছে । এটা তাদের বড় সাফল্য। মানুষ ইয়াজুজ মাজুজের অবস্থানও খুঁজে পায়নি। এখন হয়তো মানুষ বলবে এমন কিছু নেই।
তা’তারা এমন অনেক কথাই বলতে পারে। তাই বলে তাদের কথায় যা আছে তা’ নাই হযে যাবেনা কোন দিন । কারো কাছে প্রমাণ না থাকুক, কারো না কারো কাছে তো প্রমাণ আছে । আসলে মানুষের জ্ঞান তার বিশ্বাসের ভিন্নতা দেয় । এজন্যই ইসলামে নারী পুরুষ সবার জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। সর্ব শেষ আমার নিকট যে জ্ঞান আছে তা’ ডারউইনের নেই । ডারউইনের যে জ্ঞান আছে তা’ আমার নেই । দুজনের জ্ঞান একত্র করে প্রকৃত সত্য নির্ণয় অবশ্য সম্ভব । সেটা এখনো কেউ করছেনা । যে যার মত আছে। শেষ কথা হল, আমার বিশ্বাস আমার নিকট ধ্রুব সত্য । জনাব স্বচ্চ আহমেদ, আপনার মত একত্রে অনেক কথা লিখে ফেল্লাম। শুভ কামনা রইল। ইতি- ফরিদ আহমদ চৌধুরী।
আপনি নিজেই প্রশ্ন বানাচ্ছেন, আবার নিজের মতো করে মনগড়া উত্তর সাজিয়ে বলছেন এগুলো আপনার উপপাদ্যের প্রমান।
ভাই, আপনি জন্ম থেকেই আপনার জন্ম সুত্রে পাওয়া ধর্মের বেড়াজালে অন্ধ বিশ্বাসে, অন্ধ আবেগে আবদ্ধ হয়ে বসে আছেন, কেনো খামাখা এই অন্ধ বিশ্বাসকে যুক্তি-তর্ক (উপপাদ্য ?) দিয়ে উপস্থাপন করে গলদঘর্ম হচ্ছেন।
ভালো :good:
ফরিদ ভাই মহা প্রকৃতি উপপাদ্যর প্রমাণ সহ সোর্স দিন – পড়ে দেখি।
‘নাস্তিক হলেও আপনাকে ভদ্র বলেই মনে হয়।’ – এই কথাটার একটু ব্যাখ্যা দিলে ভাল হয়।
আপনি অবশ্যই আল্লাহর নাম নেবেন যেহেতু সেটা আপনার বিশ্বাস, সেটা উলুবনে মুক্তা ছড়ান হলেও আমরা সবার বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি – আপনি যা বলতে চান বলুন আমরা শুনবো।
অসন্তোষ হইনি বরং আপনার কমেন্টস র জন্য ধন্যবাদ।
মৌলবী সাহেবদের মত হুবুহু আল্লায় আমার কোনদিনই বিশ্বাস ছিল না, তবে নিজের মত একটি সৃষ্টীকর্তার ধারণা তৈরী করে নিয়েছিলাম যা বিজ্ঞানসম্মত মনে হত আমার। আল্লাহর রাসুলদের প্রতিও আমার অবিশ্বাষ ছিল না, কিন্ত রাসুল পয়গম্বরদের নিয়ে মানুষ অনেক বেশী কল্প কাহিনী তৈরী করেছে বলে মনে হতো। নামাজ রোজা মোটামুটি করতাম, তবে বাহুল্য পছন্দ করতাম না। সুরা, দোয়া, যাহা নামাজ রোজার জন্য প্রয়োজন, শুধু মুখস্থ করা ঠিক মনে হতো না, তাই ভাল করে অর্থ বোঝার চেষ্টা করতাম। শুধু আরবীতে কোরান তেলাওতে মন চাইতো না, বাংলা এবং ইংরেজী অনুবাদ পড়া পছন্দ করতাম। এভাবেই চলছিল বেশ। দেশে বিদেশে ঘুরতে ঘুরতে একসময় বয়স ষাটের কোটায় পৌঁছে। আশে পাশের সমবয়সী বন্ধু পরিচিতরা মহা উৎসাহে হজ্জ্ব পালনের প্রতিযোগিতায় নামা শুরু করলেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ বাড়ী ও বাড়ী না ওছিলায় ডিনার দাওয়াত হয়। মেয়েরা তাদের চিরচারিত গল্প নিয়ে হাসি হট্টগোল করে, আর পুরুষেরা ছাদ ফাটিয়ে রাজনীতি আর ধর্ম নিয়ে তর্ক করে। প্রায়শঃই বহুদিনের পরিচিত লোকজনের মুখে এমন সব অদ্ভুত অদ্ভুত বিশ্বাসের কথা শুনি, যা না মেলে আমার কোরান জ্ঞানের সাথে , না মেলে তাদের বিজ্ঞান জ্ঞানের সাথে। বলা বাহুল্য এদের অধিকাংশই বিজ্ঞান ভিত্তিক স্নাকোত্তর ডিগ্রির অধিকারী। বয়স ষাটের নিকটবর্তী হবার সময় থেকে প্রতি বছরই নববর্ষের প্রতিজ্ঞা নিই নিজের দেহ মনের উন্নয়ন আর বিকাশ সাধনের ইচ্ছায়। ষাট বছর বয়সের প্রতিজ্ঞাটি ছিল, সম্পূর্ণ কোরান বোঝা এবং নিজের মত একটা বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা সহ সংক্ষিপ্ত নির্যাস তৈরী করা, যা আমার বন্ধুদের তর্কের আসরে ধর্মের সব নির্ভুল ব্যাখ্যায় কাজে লাগবে। পহেলা রমজান থেকে কাজ শুরু করলাম। বেশ কিছুদুর এগিয়েই হোঁচট খাওয়া শুরু হল। সচেতন পাঠক মাত্রেরই একই প্রতিক্রিয়া হয় জানি। অপ্রাসাংগিক এবং ওল্টোপাল্টা কথার মানে করতে গলদ ঘর্ম। ভাব্সলুম, সে সময়ের মক্কার সামাজিক ইতিহাস, পৌত্তলিক ধর্ম, এবং আচার সংষ্কৃতি নিবীড় ভাবে না জেনে এর প্রকৃত ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। অতএব কোরান বাদ দিয়ে দেড়হাজার বছর আগের ইতিহাস আর সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে গবেষনা শুরু করলাম। ইন্টারনেটই ভরসা। বিষ্ময়ের সীমা থাকলো না যখন বুঝতে পারলাম সেই সময়ের বিস্তারিত ইতিহাস প্রায় অনুপস্থিত। যা পাওয়া যায়, তা দুই প্যারগ্রাফের বেশী নয়। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, তাই নানা ট্যাগ বাক্য ব্যবহার করে সার্চ করতে থাকি…।।একসময় বুম্ – লেগে গেল। আকাশ মালিকের ‘যে সত্য বলা হয়নি’ পেয়ে গেলাম। এই পথ ধরেই মুক্তমনায় প্রবেশ। দশ কি এগারো রোজার ঘটনা, রমজান মাসেই মুক্তোমনার সব লেখা পড়া হয়ে গেল আমার, কিন্তু বাকী রোজাশুলো আর রাখা হলো না……
সুন্দর করে নিজের ব্যক্তিগত উপলব্ধি তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো।
আমার বাসায় আপনার চায়ের দাওয়াত রইল । চলে আসুন, এমন সব কথা শুনাব যা কেউ কখনো বলেনি। আশাকরি আপনার ভাল লাগবে। আপনাদের এখানে আল্লাহর নাম নিলাম না। কারণ আপনাদের সামনে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা আর উলোবনে মুক্তা ছড়ানো এক কথা। কেমন সমালোচনা শুনতে ভালেোগল কি? তৈল দিলাম না । কারণ তৈল মাঝতে আমার ভাললাগেনা। তৈল না পেয়ে অসন্তুষ্ট হবেননা প্লিজ।
নাস্তিক হলেও আপনাকে ভদ্র বলেই মনে হয়। দেখি পারস্পরিক মত বিনিময়ে কি ফল বেরিয়ে আসে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। আমার উপপাদ্য কেমন হল বলবেন। উপপাদ্য কিন্তু চিরন্তন সত্য। যদি এটা আপনাদের ব্লগে থাকে তবে এমন উপপাদ্য আরো পাবেন। আমি বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত উম্মচন করতে চাই। আমার বক্তব্য সবাই সমর্থন করে। তবে আপনাদের সমর্থন পেলে আমি সার্থক হব। শেষ পর্যন্ত আমরা যেন একমত হতে পারি।
আমার বিশ্বাস যুক্তি, প্রকৃতি, বিজ্ঞান ও গণিত নির্ভর । কারো কথায় আমি প্রভাবিত হয়ে আমি কোন কিছু বিশ্বাস করিনা । সুতরাং আমার সকল বিশ্বাসের প্রমাণ আমার নিকট রয়েছে । আমি মুক্তমনে সব কিছু যাচাই বাছাই করে তার পর বিশ্বাস করি । সুতরাং আমি আলোর পথের অভিযাত্রি । আমি অন্ধকার ভালোবাসিনা । জনাব স্বচ্চ আহমেদ আপনাকে আরো স্বচ্চ হতে হবে। আলোকে আাঁধার ভেবে, আর আাঁধার কে আলো ভেবে, আলোর পথ ছেড়ে আাঁধার পথে যাত্রা ঠিক নয়। আলোকে না বুঝে আাঁধার বল্লেও উহা চিরকাল আলোই থাকবে। আলো কখনো আাঁধারে হারিয়ে যাবেনা। আশাকরি আমি যা বলেছি বুঝতে পেরেছেন।
@ফরিদ আহমদ চৌধুরী,
আপনি বললেন আপ্ননি আপনার বিশ্বাস যুক্তি, প্রকিতি, বিজ্ঞান আর গণিত নিরভর। আপনি নিজে একবার চিন্তা করে দেখেন তো বিশ্বাস জিনিশটা আসলে কি? একজন বিখ্যাত রাইটার এর লাইন ধার করে বলি- আমরা কি ভাতে কিংবা ডালে বিশ্বাস করি? কাউকে শুনেছেন বজ্রপাতে বিশ্বাস করতে?………অথচ ভুতে বিশ্বাস করতে হয়। জা কিছু যুক্তি তর্ক দিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে তাতে আমাদের বিশ্বাস করতে হয় না। যেখানে যুক্তি, বিজ্ঞান সেখানে বিশ্বাস এর কন স্থান নেই।যুক্তি না পেলে মানুষকে তা বিশ্বাস করতে হয়। আপনি যদি আপনার না বলা কথা গুলো বলেন তাহলে আর ভাল হয়।
নির্ভর যোগ্য ব্যাক্তির বক্তব্য সত্য মেনে এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাকে বিশ্বাস বলে । যেমন বিজ্ঞানী বলেছেন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে, বিজ্ঞানীর কথায় বিশ্বাস করে আমি সেটা মেনে নিয়েছি । বাস্তবে বিজ্ঞানী যা জানে আমি তা’ জানিনা । তা’হলে আমার এ বিশ্বাস কি বিজ্ঞান নির্ভর নয়? তেমনি মুহাম্মদ (সঃ) এমন অনেক কথা বলেছেন যা আমি বিশ্বাস করি, আমি বলছি আমার এ বিশ্বাসগুলোও যুক্তি, প্রকৃতি, বিজ্ঞান ও গণিত নির্ভর । আমি আমার এ বিশ্বাস গুলো যুক্তি, প্রকৃতি, বিজ্ঞান ও গণিত দ্বারা প্রমাণ করতে পারি । যেমন সর্ব শক্তিমানের প্রমাণ উপস্থাপন করা শুরু করেছি গণিতের একটি শাখা জ্যামিতির উপপাদ্যের সাহায্যে । তাহলে এবার বলুন বক্তব্য আপনারটা ভুল না আমারটা ? সত্য মেনে নেওয়ার জন্য মনকে প্রস্তুত করুন । আশা করি এতে মঙ্গল বই অমঙ্গল হবেনা ।
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ১
নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব ।
প্রমাণঃ-
যখন কোনকিছু ছিলনা তখন ছিল একটা শূণ্য । কোন কিছু না থাকায় সে শূণ্যকে সীমা দিয়ে সীমাবদ্ধ করা যায়নি । সুতরাং উহা অসীম ছিল । অসীম কখনো ছোট হয়না, সুতরাং উহা ছিল অসীম মহা শূণ্য । সেখানে কোন কিছু না থাকায় সেখানে কোন কিছু নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা ছাড়া উপায় ছিলনা । আবার নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে সেথায় কোন বাধাও ছিলনা । সেথায় নিজে নিজে যা অস্থিত্ব লাভ করেছে উহার সীমা নির্ধারক অনুপস্থিত ছিল। সুতরাং উহা অসীম হয়েছে । পদার্থ অসীম হতে পারেনা। সুতরাং উহা ছিল শক্তি । কোন শক্তির সেথায় নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে বাধা না থাকায় সেথায় সকল শক্তি নিজে নিজে অসীম রূপে অস্তিত্ব লাভ করেছে । কিন্তু তারা পরস্পর আলাদা হতে পারেনি । কারণ আলাদা করতে হলে এদের সীমা দেওয়ার দরকার ছিল । কিন্তু অসীমের সীমা দেওয়া যায়না । সুতরাং সকল অসীম শক্তি একত্রে মিলে মিশে একজন অসীম সর্ব শক্তিমান হয়েছেন । অসীম প্রাণ শক্তি থাকায় তিনি জড় জাতীয় কিছু হননি । অসীম সর্ব শক্তিমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের সময় তার জন্য কোন বাধা ছিলনা এবং তাঁর অবস্থানের জন্য স্থানের অকুলান ছিলনা । তার জন্য ছিল অসীম স্থান । তিনি অস্তিত্ব লাভের পর এক অসীমে স্থান লাভ করল আরেক অসীম । সুতরাং নিজে নিজে অস্তীত্ব লাভের জন্য কোন স্থান আর অবশিষ্ট রইলনা । আবার নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তিনি অসীম বাধা । অসীমকে অতিক্রম করা যায়না । সুতরাং নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব । (প্রমাণীত)
আমি যা লিখলাম এর ষোলআনা প্রকৃতি। এর বিপরীত কোন `প্রকৃতি বাদ’ থাকতে পারেনা । এ উপপাদ্য জড়বাদ, ডারউইনবাদ ও নাস্তিক্যবাদকে শতভাগ মিথ্যা প্রমাণ করে ।
আপনি উত্তর দিন একজন সর্বশক্তিমান হলে তার পক্ষে কি এমন কোন বস্তু তইরি করা সম্ভব যেটা তিনি নিজেই ওঠাতে পারবেন না?
একটু বেশি ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২
অনিয়ন্ত্রিত এবং অসীমাবদ্ধ চলমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তৎপর কোন কিছু কোন বাধাভিন্ন অসীম হতে বাধ্য
প্রমাণঃ-
কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে কোন কিছু অস্তিত্ব লাভ করতে গেলে উহাকে নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করতে হবে কারণ তার অস্তিত্ব প্রদান করার মত কোন কিছু তথায় বিদ্যমান নেই । উহা হবে চলমান কারণ এর পূর্ব অবস্থান ছিল শূণ্য নতুন অবস্থান অস্তিত্ব । সুতরাং অবস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত কারণে উহা চলমান । সীমা নির্ধারক না থাকায় উহা অসীমাবদ্ধ, নিয়ন্ত্রক না থাকায় উহা অনিয়ন্ত্রিত । এমন অবস্থায় উহা যদি বস্তু হয় তবে নিজ প্রকৃতি অনুযায়ী উহা নির্দিষ্ট স্থানের দিকে ধাবীত হতে বাধ্য । কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে এমন স্থান ছিল অনুপস্থিত । সেথায় স্থান ছিল সবদিক অসীম বিস্তৃত । প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বস্তু বা পদার্থ সবদিক অসীম বিস্তৃত সেই স্থানের সবদিক ধাবিত হতে বাধ্য ছিল । পদার্থ এমন বাধ্য হলে উহা ভেঙ্গে যেতেও বাধ্য ছিল । আর পদার্থ এর অণু পরমাণু থেকে ভেঙ্গে গেলে উহা আর পদার্থ থাকেনা উহা শক্তিতে পরিণত হয় । শক্তির প্রকৃতি হল এটা যে স্থানে স্থান লাভ করে এটা সে স্থানের সবটা দখল করে । যেহেতু কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্য অসীম সুতরাং অস্তিত্ব লাভ কারীও অসীম হতে বাধ্য । আর সেথায় এমন অসীম হতে কোন বাধা বিদ্যমান ছিলনা । সুতরাং অনিয়ন্ত্রিত এবং অসীমাবদ্ধ চলমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তৎপর কোন কিছু কোন বাধাভিন্ন অসীম হতে বাধ্য । (প্রমাণিত)
অনুসিদ্ধান্ত – ১
যেহেতু পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি অসীম হতে অক্ষম , সুতরাং এগুলো নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভে অক্ষম ।
অনুসিদ্ধান্ত – ২
যেহেতু কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন মহাশূণ্যে কোন কিছুর অস্ত্বিলাভে কোন বাধা ছিলনা, আবার পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি অসীম হতে অক্ষম ছিল, সেহেতু সকল পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন মহাশূণ্যে অসীম শক্তিরূপে স্থান লাভ করেছে এবং উপপাদ্য-১ অনুযায়ী অসীম সর্বশক্তিমানের সত্ত্বায় মিশে গেছে ।
অনুসিদ্ধান্ত – ৩
যেহেতু পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভে অক্ষম , সেহেতু এগুলোর একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন এবং তিনি হলেন একমাত্র একমাত্র নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভকারী অসীম সর্বশক্তিমান ।
অনুসিদ্ধান্ত – ৪
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ১ ও মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২ ও
এদের অনুসিদ্ধান্ত অনুযায়ী নাস্তিক্যবাদ, ডারউইনবাদ, জড়বাদ বিজ্ঞান সম্মত ও যুক্তি সংগত কোন মতবাদ নয়।
এগুলো শতভাগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা । এসব মতবাদের অনুসারীরা অন্ধকারের যাত্রী ।
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ১
নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব ।
প্রমাণঃ-
যখন কোনকিছু ছিলনা তখন ছিল একটা শূণ্য । কোন কিছু না থাকায় সে শূণ্যকে সীমা দিয়ে সীমাবদ্ধ করা যায়নি । সুতরাং উহা অসীম ছিল । অসীম কখনো ছোট হয়না, সুতরাং উহা ছিল অসীম মহা শূণ্য । সেখানে কোন কিছু না থাকায় সেখানে কোন কিছু নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা ছাড়া উপায় ছিলনা । আবার নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে সেথায় কোন বাধাও ছিলনা । সেথায় নিজে নিজে যা অস্থিত্ব লাভ করেছে উহার সীমা নির্ধারক অনুপস্থিত ছিল। সুতরাং উহা অসীম হয়েছে । পদার্থ অসীম হতে পারেনা। সুতরাং উহা ছিল শক্তি । কোন শক্তির সেথায় নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে বাধা না থাকায় সেথায় সকল শক্তি নিজে নিজে অসীম রূপে অস্তিত্ব লাভ করেছে । কিন্তু তারা পরস্পর আলাদা হতে পারেনি । কারণ আলাদা করতে হলে এদের সীমা দেওয়ার দরকার ছিল । কিন্তু অসীমের সীমা দেওয়া যায়না । সুতরাং সকল অসীম শক্তি একত্রে মিলে মিশে একজন অসীম সর্ব শক্তিমান হয়েছেন । অসীম প্রাণ শক্তি থাকায় তিনি জড় জাতীয় কিছু হননি । অসীম সর্ব শক্তিমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের সময় তার জন্য কোন বাধা ছিলনা এবং তাঁর অবস্থানের জন্য স্থানের অকুলান ছিলনা । তার জন্য ছিল অসীম স্থান । তিনি অস্তিত্ব লাভের পর এক অসীমে স্থান লাভ করল আরেক অসীম । সুতরাং নিজে নিজে অস্তীত্ব লাভের জন্য কোন স্থান আর অবশিষ্ট রইলনা । আবার নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তিনি অসীম বাধা । অসীমকে অতিক্রম করা যায়না । সুতরাং নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব । (প্রমাণীত)
আমি যা লিখলাম এর ষোলআনা প্রকৃতি। এর বিপরীত কোন প্রকৃতি বাদ থাকতে পারেনা । এ উপপাদ্য জড়বাদ, ডারউইনবাদ ও নাস্তিক্যবাদকে শতভাগ মিথ্যা প্রমাণ করে ।
প্রঃ আপনি উত্তর দিন একজন সর্বশক্তিমান হলে তার পক্ষে কি এমন কোন বস্তু তইরি করা সম্ভব যেটা তিনি নিজেই ওঠাতে পারবেন না?
উঃ সর্ব শক্তিমানের পক্ষে কোন কাজ অসম্ভব নয় । কোন কাজের কথা বল্লেন সেটা পরিস্কার করে বল্লে তাঁর পক্ষে সে কাজ কি ভাবে করা সম্ভব আমি তা প্রমাণ সহকারে উপস্থাপন করব ।
অতি চমতৎকার
আপনার এই বিশ্বাস ছেড়ে যুক্তির পথে উত্তোরণ সত্যি খুব প্রসংশনীয়। লিখতে থাকুল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল…..
বিজ্ঞানের আলো ধর্মীয় অন্ধকার দূর করে দেয়ে। আপনার জীবনের এমন আত্মসাক্ষ্য অন্যকেও বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলুক এই কামনা করি। কিন্তু শেষের বাক্য যা ব্রাকেটের মধ্যে রয়েছে, ”সৎ কমেন্ট করে মন্তব্য দিলে খুশি হব কেননা আরও লিখতে চাই“- বাক্যটি দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন একটু ব্যাখ্যা করে যদি বলতেন।
অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার লেখাটি।
🙂
চমৎকার।
আপনাকে দেখে বোঝা যায় মুক্তচিন্তা করতে বয়স কোন বাধা না। আসলে আমাদের সবার মধ্যেই একটা কউতুহলি শিশু বাস করে। আপনি “বিশ্বাসের ভাইরাস” বইটা পড়তে পারেন।
আসলে হয়ত আমাদের সবার মুক্তমনা হয়ে ওঠার শুরুর ইতিহাস একই রকম। ছোটবেলা থেকে মনের মধ্যে একরকম খচখচানি ছিল। সবকিছুতে প্রশ্ন করতাম “কেন?”। অভিজিৎ স্যারের লেখা আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী আমি প্রথম পড়ি গত বছর। এরপর পরিক্ষার মধ্যে আরও দুটা। তার ১০টা বইএর দুটা আমার কাছে নেই। আমার মফস্বল শহরের দোকানএ আসছে না। আপ্নারা জেনে খুশি হবেন আমি আমার মাকে(মধ্যবয়স্ক) মুক্তচিন্তা করতে শিখিএছি।আমি বয়সে অনেক ছট। আমাকে পথ দেখালে খুবি ক্রিতজ্ঞ থাকব।
আমার প্রথম লেখাতেই বেশ কিছু পজিটিভ কমেন্টস পাব ভাবিনি। ধন্যবাদ সবাইকে। আরও লিখব – আরও বেশী সময় নিয়ে আরও ভাল লিখতে চাই।
মন্তব্য… বোকারা ভেবেছিল চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মুক্তমনাদের শেষ করবে। কিন্তু এ কি দেখছি! এরা তো নিজের পায়েই কুড়াল মারলো। একটি কোপ হাজারো মুক্তমনার জন্ম দিচ্ছে।
মুক্তমনা আর অভিদারা আমাকেও নুতুন করে জন্ম দিয়েছে । ছোটবেলায় একবার কেউ মহানবী (সাঃ) নিয়ে কটু কথা বলায় তার উপর ঝাপিয়ে পরেছিলাম কেউ উস্কানি দিলে খুনও করে ফেলতে পারতাম । ক্লাস নাইন টেনে চেষ্টা করতাম বিজ্ঞান দিয়ে ইসলামকে ব্যাখ্যা করার,যে এটা মহান আল্লাহর প্রেরিত একমাত্র সত্য ধর্ম,মনে হয় খুব ভালই পারতাম।একবার নুরল ইসলামের “পৃথিবী ঘরে,না সূর্য ঘোরে” পড়ার পর সেই দিনের প্রথম আলোতে প্রকাশিত গ্যালিলিও এর ছবিকে কে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলাম,কোরানের স্থির পৃথিবীকে অস্থির করার জন্য । একবার রমজানে কোরান পড়ে ঘোষনা করলাম ,কি বিজ্ঞানময় মহামান্নিত এই কোরান ! এখন বুজতে পারি কোরআন পড়ে বিস্মিত হতে চেয়েছিলাম তাই হয়েছি,কোন ভুল ত দূরে থাক,যেটা এর সাথে মিলত না বরং ওটাকেই ভুল বলতাম ।ভাগ্যিস বিজ্ঞানকে খুব ভালবাসতাম আর বিজ্ঞানের বিভিন্ন সাময়িকী পরতাম(সায়েন্স ওয়ার্ল্ড তার একটা) তাই একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতেই ঈশ্বরের অস্তিত্বকে যুক্তির খাতায় ফেলে দিলাম ,সকালে বলতাম আরে ঈশ্বর ছাড়া কেমনে হয় ? সেই দিনের বিকালে আবার বলতাম ধুর ঈশ্বরের কোন দরকার আছে নাকি,নরমাল সায়েন্স দিয়েই তো মহাবিশ্ব ব্যাখ্যা করা সম্ভব আবার রাত্রে বলতাম ধুর ঈশ্বর ছাড়া কেমনে কি ? মহাবিশ্ব না হয় বিজ্ঞানের সুত্র মেনে সৃষ্টি হল কিন্তু চোখের মত জটিল জিনিস কেমনে সম্ভব? এভাবে দুটি বসর দিধা-দন্দে কাটিয়ে ভার্সিটিতে উঠলাম,অবশেষে আমাকে মুক্তি দিল মুক্তমনা ,অভিরা আমাকে দেখাল আধুনিক বিজ্ঞানের রঙিন জগত ,অনন্ত -বন্যাদিরা নিয়ে গেল বিবর্তনের রঙ্গমঞ্চে । তৈরি হলাম নতুন আমি। তখন কেবল মুক্তমনার নাম শুনেছি হটাত ফেব্রুয়ারির এক রাতে কোপানো কোপানো হল অভিদা আর বন্যাদিকে আর তাদের রক্ত আমাকে নিয়ে এলো মুক্তমনায় ।অভিদা,অনন্ত ,বন্যাদি………আপনাদের অন্তত এটুকু বলতে পারি বৃথা যাবে না আপনাদের রক্ত , আমি এসেছি, ভবিষ্যৎ পৃথিবীর তরুনেরাও আসবে আপনাদের পথ ধরে……
প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতা আমারও। আমার দুইভাইরাও আমার মতন। আপনাকে নতুন জীবনে স্বাগতম। :rose: :rose: :rose:
কলম চলুক, শুনতে চাই জীবন সেঁচে তুলে আনা সত্যের বোধ।
লেখাটি খুব ভাল লাগলো।
অভিজিতের ভাষায় বলি- ‘মন খুলে লিখে যান’। আমি বলি লিখতে থাকুন, কেউ না কেউ উপকৃত হবে আজ না হউক কাল। আমার অবস্থা ও প্রায় আপনারই মত ছিল। আমার না বলা কিছু কথা এখানে আমি বলে রেখেছি।
ধর্মান্ধকারমুক্ত আলোকিত জীবনে আপনাকে স্বাগতম ও অভিনন্দন। সাথে সাথে মুক্তমনায়ও স্বাগতম জানুন। নিয়মিত লিখুন মুক্তমনায়। ধন্যবাদ। :rose: :rose:
দিদি,
আপনার করা মন্তব্য মনে থাকবে।
তবে আমার লিখার চেয়ে কমেন্টস করতেই ভাল লাগে।
আর হ্যা,মুক্তমনায় আপনার লেখা এবং অন্যদের লেখায় প্রায়শই আপনার করা মন্তব্য দেখে ও পড়ে খুব আরাম পাই।
আপনি সতত: ভাল থাকবেন।
কলম চলুক দূর্বার গতিতে,ছিন্নভিন্ন হউক সকল চিন্তার জড়তা,,,,,,,,,,,
ধন্যবাদ। কলম চলবে।
স্বচ্ছ আহমেদ,
আপনার মত মানুষেরাই মুক্তমনার শক্তি। আপনারাই মুক্তমনার আগামীদিনের কান্ডারী।
আপনার মত করেই যেন হাজার হাজার বাংগালি মুক্ত পথের ও মুক্ত জীবনের স্বচ্ছ সন্ধান পায় এ আশাই করছি।
বেশী বেশী করে লিখুন।
মুক্তমনায় সু-স্বাগতম।
কলম চলুক দুর্বার গতিতে,ছিন্নভিন্ন হউক সকল চিন্তার জড়তা………
সায়ন কায়ন, আপনিও লিখুন না মুক্তমনায়। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগে। লেখাও দিন না!
ধন্যবাদ। লিখব অবশ্যই লিখব।
@লেখক
রাজীব হায়দার,অভিদা,বিজয়,বাবু,নীলাদ্রির হত্যা আমাকেও কৌতুহলী করেছে ব্লগে আসতে।
আমার বয়সো ত্রিশোর্ধ কিন্ত উনাদের মত করে কখনো ভাবিনি,যদিও খুব ধর্ম প্রান আমি কখনই ছিলাম না।।
আমাদের মত আরো হাজারো তরুন,যুবক-যুবতী,কিশোর -কিশোরীকে জীবন উৎস্বর্গ করে উনারা(নিহত ব্লগাররা)সত্যের সন্ধান দিয়ে গেছেন,তাঁদের রক্তও বৃথা যাবার নয়।।
আপনার লিখনীতে নিজের ছায়া দেখতে পাচ্ছি,সত্যের সন্ধানে,ন্যায়ের পক্ষে কলম ধরুন……
একজন অভিজিৎ জন্ম দিয়েছে শত অভিজিতের-শত অভিজিৎ সত্যের সন্ধান দেবে হাজার – সহস্রজনায়।
চাপাতি নয় কলমই দিতে পারে প্রকৃত সত্য আর শান্তির সন্ধান।
ধর্মান্ধ অর্বাচীনেরা বুঝে নিক..
ধন্যবাদ
বিশ্বাসীর ডাইরী নামে আমি একটা বই লিখছি। আশাকরি এটা অবিশ্বাসীদের ভুল ভা্ঙ্গাবে।
অপেক্ষায় রইলাম
বই টা কবে নাগাদ বের হবে?
একটা ইট ১০ ইঞ্চি দৈর্ঘ, ৫ ইঞ্জি প্রস্থ্য এবং তিন ইঞ্চি উচ্চতা সম্পন্ন কেন হয়? কারণ এর তৈরী কারক তাকে এমন সীমা দিয়ে তৈরী করে । তার এর বাইরে যাওয়ার উপায় নেই বলে এটা এর বাইরে যেতে পারেনা। কিন্তু যে নিজে নিজে হচ্ছে সে এমন সীমাবদ্ধ কেন হবে? তার কি আক্কেল-বুদ্ধি নেই? যে খানে সে অসীম হতে পারে সেখানে সে সীমাবদ্ধ হবে কোন কারণে?