কত দিন পরে মুক্তমনায় ঢুক্লাম জানিনা। ঢুক্তে গিয়ে হোঁচট খেলাম। এই পাস ওয়ার্ড সব কিছু অভিজিতের দেয়া । অভিজিৎ নাই আমি কি করে ভাবি? সেদিন যখন এই খবর পেলাম তার ঘন্টা খানেক আগে আমি বইমেলা থেকে এলাম। জানিই না যে অভিজিৎ ৎএসেছে।
খবর শুনে ভাবছি তাই কি হয়? এলে তো জানতে পারতাম। মন মানে না। আবার ভাবছি টেলিভিশ্ন টা খুলি খুলে থ হয়ে গেলাম। ফোন। ঈকে করছি,
তাকে করছি সবাই বলছে ঘটনা সত্য তা কী করে হয়? ও তো জানে ওর এই অসভ্য জায়গায় বিপদ আছে। তাহলে?
এইবার টূটুল ভাই শুদ্ধস্বর এর মালিক। ফোন করলাম। কাঁদছেন। হাউ মাউ করে । আমার কান্না শুনে পাশের রুম থেকে আমার স্বামী ছুটে এলেন।
কি হয়েছে। মেয়েরা জানালো। কাঁদছি। কি করে ভুলি?
২০১২ বইমেলাতে এক সাথে ছবি তুলেছি। অভিজিৎ –
হাত বাড়িয়ে লিখে দিন আপা-। কুন্ঠিত বোধ করছি। অভিজিৎ বয়ৎসে ছৎোট কিন্তু কত কত জ্ঞৎ্যানী আমি কী বা লিখতে পারি।
সেই বছরেই আমার বই ফানুস বের হয়েছিল। শুদ্ধস্বর থেকে।
আজ দুইটা মাস কেটে গেলো। কেমন করে আছেি আমরা।
বন্যা আপনাকে স্যোলুটে। আপনি আসল যুদ্ধ করেছেন। আপনার কষ্ট কি ক্রে দূর হবে জানিনা। তবু অভিজিতের মত সবাইকে আগলে রেখেন।
আপনাকে আমাদের বড় দরকার। আর জোড় হাত মিনতি এই অভাগা দেশে আর আসবেন না।
অভিজিৎ এর ই মেইল অভিজিতের সাথে কিছু খুচ্রো কোথা ফেস বুকে। হায় এই গুলো কি ভুলতে পারি? এই সব তো সম্পদ।
অভিজিৎ কাজ টা ঠিক হয়নি ভাই। আরো অনেক কিচ্ছু পাবার ছিলো। কিন্তু এমন করে সবাইকে বুক খালি করে গেলে??
ঘাতকেরা তো ওৎ পেতেই ছিল। কত জন নিষেধ করেছিলেন কেনো শুনলে না ভাই?
আমরা খুব অসহায় খারাপ প্রজাতি। আমাদের মাফ করো না। কোনোদিন না।
সরা সরি লিখলাম যা আবেগি মন বল্লো। তাই প্রিয় পাঠক ক্ষমা করে দেবেন।